শাহানা আকতার:
হাজীগঞ্জের ৭নং বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড নাটেহারা গ্রামে ইউপি সদস্য পদে উপ-নির্বাচন আগামি ১৪ অক্টোবর। এরই মধ্যে এলাকায় নিজ নিজ প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনায় মেতে উঠেছে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।
জানা যায়, আওয়ামীলীগের ঘাটি হিসাবে পূর্বে থেকে পরিচিতি লাভ করলেও স্থানীয় যেকোন নির্বাচনে টাকার কাছে কিছু নেতা পরাজয়ের পরিচয় দিয়ে আসছে। টাকার বিনিময় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা স্থানীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও উপ-নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ নিয়ে নিজ দলের প্রার্থী সমর্থকদের বিরুদ্ধে কাজ করে আসছে যার একাধিক নজির রয়েছে । যে কারনে আওয়ামীলীগের লোকজন স্কুল, মাদ্রাসা, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলোতে প্রার্থী হতে সাহস পাচ্ছে না।
অভিযোগ উঠেছে বিগত সময়ে রামচন্দ্রপুর ভূঁইয়া একাডেমী, রামচন্দ্রপুর ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, সাদ্রা ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসহ একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যত জন আওয়ামী সমর্থক প্রার্থী তাদের পক্ষে কাজ না করে বরং অর্থের বিনিময়ে বিএনপি-জামায়ত সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করে তাদেরকে বিভিন্ন চেয়ারে বসিয়েছে।
গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নাটেহারা গ্রামের দুইটি ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জয় লাভ করে। অথচ এ গ্রামে শতকরা ৯৫ ভাগ ভোটার আওয়ামীলীগের সমর্থক। সে সময় আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতারা টাকার বিনিময় বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে বলে অভিযোগ উঠে।
সম্পতি সময়ে উক্ত ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে উপ-নির্বাচনেও এমন বাস্তব চিত্রের প্রমান পাওয়া যায়। ৯নং ওয়ার্ড নাটেহারা গ্রামে শতকরা ৯৫ ভাগ ভোটার হচ্ছে আওয়ামীলীগের। সে সুবাদে আওয়ামীলীগের সমর্থন করে এমন একজন প্রার্থী হচ্ছেন মো. শাহজাহান। অন্যপ্রার্থী উক্ত ইউনিয়ন বিএনপির অর্থদাতা ক্ষমতাসীন আওয়ামীযুবলীগ নেতার ছোট ভাই জহির মোল্লা। এবারের নির্বাচনেও আওয়ামীলীগের কিছু নেতাকর্মী বিএনপির প্রার্থী জহির মোল্লার পক্ষে কাজ করে আসছে বলে সরাসরি প্রচার-প্রচারনায় নেমেছে।
অথচ পুরো ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দূর্গ হিসাবে পরিচিত নাটেহারা গ্রামে আসন্ন ৯নং ওয়ার্ড উপ-নির্বাচনে টাকা ও দলের বিপক্ষে কাজ করে বিএনপির বড় অর্থ দাতা জহির মোল্লাকে বিজয় করার পায়তারা চলছে।
এমতা অবস্থায় নাটেহারা গ্রামের সাধারন আওয়ামী পরিবারগুলো থানা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।