যিনি ঘুষ দেবে ও যিনি ঘুষ নেবে উভয়েই অপরাধী:প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট: ০৯:১৫:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৯
  • ৩৩

অনলাইন ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে ঘুষ নেবে শুধু সে অপরাধী নয়, যে দেবে সেও অপরাধী। যারা ঘুষদাতা তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজ রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিতে যে ঘুষ নেবে শুধু সে অপরাধী নয়, যে দেবে সেও অপরাধী। এই জিনিসটা মাথায় রাখতেহবে। সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আর এটি করতে পারলে আমাদের অনেক কাজ দ্রুত হবে।

তিনি বলেন, সম্পদের মোহে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়, সে ভুলে যায় একদিন তারও মৃত্যুবরণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে- মরে গেলে কিছু সঙ্গে নেওয়া যাবে না। যা রেখে যাবে সেটা আর কোনোদিন কাজে লাগবে না। আর যদি বেশি রেখে যায় তবে সন্তানদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়। এসব নিয়ে মারামারি কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। এখন এগুলো খুব বেশি দেখা যায়।

তিনি বলেন, সম্পদের পেছনে এই অন্ধের মত ছুটে বেড়ানো আর নিজের সবকিছু নষ্ট করার কী অর্থ থাকে? কার কত আয়, তা বুঝে ব্যয়; জীবনটা সবার ভালোভাবে চলুক সেটা আমরা চাই। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়টা সামনে নিয়ে আসা দরকার- যে ঘুষ দেবে সেও যেমন দোষী, যে নেবে সে দোষী। এভাবে যদি আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি, এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তবে আমাদের অনেক কাজ দ্রুত করা সম্ভব হবে।

এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যথেষ্ট সক্রিয় আছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। কে কত খরচ করলো তারও একটা হিসাব নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও সচিবসহ তার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

যিনি ঘুষ দেবে ও যিনি ঘুষ নেবে উভয়েই অপরাধী:প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৯:১৫:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে ঘুষ নেবে শুধু সে অপরাধী নয়, যে দেবে সেও অপরাধী। যারা ঘুষদাতা তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজ রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিতে যে ঘুষ নেবে শুধু সে অপরাধী নয়, যে দেবে সেও অপরাধী। এই জিনিসটা মাথায় রাখতেহবে। সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আর এটি করতে পারলে আমাদের অনেক কাজ দ্রুত হবে।

তিনি বলেন, সম্পদের মোহে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়, সে ভুলে যায় একদিন তারও মৃত্যুবরণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে- মরে গেলে কিছু সঙ্গে নেওয়া যাবে না। যা রেখে যাবে সেটা আর কোনোদিন কাজে লাগবে না। আর যদি বেশি রেখে যায় তবে সন্তানদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়। এসব নিয়ে মারামারি কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। এখন এগুলো খুব বেশি দেখা যায়।

তিনি বলেন, সম্পদের পেছনে এই অন্ধের মত ছুটে বেড়ানো আর নিজের সবকিছু নষ্ট করার কী অর্থ থাকে? কার কত আয়, তা বুঝে ব্যয়; জীবনটা সবার ভালোভাবে চলুক সেটা আমরা চাই। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়টা সামনে নিয়ে আসা দরকার- যে ঘুষ দেবে সেও যেমন দোষী, যে নেবে সে দোষী। এভাবে যদি আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি, এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তবে আমাদের অনেক কাজ দ্রুত করা সম্ভব হবে।

এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যথেষ্ট সক্রিয় আছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। কে কত খরচ করলো তারও একটা হিসাব নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও সচিবসহ তার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।