অপহরণের ১৮ ঘন্টা পর ২ অপহৃত উদ্ধার

  • আপডেট: ০৬:১০:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৯
  • ৪০

স্টাফ রিপোর্টার :

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পৌর সভার সামনে থেকে অপহৃত কচুয়া ১১নং গোহট ইউনিয়নের গোবিন্দপুর জমাদ্দার বাড়ির আব্দুল মজিদের ছেলে মো. সুজন মিয়া (কসমেটিক্স ব্যাবসায়ী), একই ইউনিয়নের নাউপুরা গ্রামের ভুঁইয়া বাড়ির মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. সুমন (শিক্ষার্থী) অপহরণের ১৫ ঘন্টা পর বুধবার দুপুর ২ টায় উপজেলার টোরাগড় গ্রাম হতে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন (হাজীগঞ্জ সার্কেল) জানান, বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১০ টায় অপহৃতদের পরিবারের লোকজন গণমাধ্যমকর্মী সাইফুল ইসলাম সিফাত ও মানবাধিকার নেতা মজিবুর রহমান রনিকে নিয়ে সার্কেল অফিসে এসে জানায়, মঙ্গলবার রাত ১১টায় সিএনজির সহযাত্রীবেসে কচুয়ার এক ব্যাবসায়ী ও এক শিক্ষার্থীকে অজ্ঞান করে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। জ্ঞান ফিরলে পরিবারের কাছে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য চাপ দেয় এবং নির্যাতন চালায়।

এসময় প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের লোকেশন সনাক্ত করতঃ ভিকটিমদ্বয়কে হাজীগঞ্জ পৌর সভার পিছনে মোশারফ ভিলার তিন তলা বিল্ডিং এর নিচ তলা হতে উদ্ধার করা হয়। উক্ত বাসাটি চলমান মাসেই ভাড়া নেয় বলে জানান বাড়ির মালিক।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন আরো জানান, অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লাপাত্তা হয় অপহরনকারীরা।

পরে সন্ধায় হাজীগঞ্জ মধ্য বাজারের একটি বিকাশ এজেন্ট থেকে টাকা উত্তোলণের সময় অপহরনকারী দলের এক নারী সদস্য মুক্তাকে কৌশলে আটক করা হয়। পলাতক অপহরনকারীদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

অপহৃত সুজন ও সুমন জানান, মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে হাজীগঞ্জ বাজার থেকে সিএনজি যোগে কালিয়াপাড়া যাওয়ার পথে হাজীগঞ্জ পৌরসভার সম্মুখে একদল যুবক তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোড়পূর্বক পৌরসভার পেছনে মোশারফ ভিলায় আটক করে রাখে। পরে তাদের পরিবারের লোকজনকে ফোন দিয়ে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।

এসময় অপহরনকারী চক্রের দলনেতা নাজমুল ও চোরা জুয়েল কাঠের রোল দিয়ে সারারাত তাদের বেধম মারধর করে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

অপহরণের ১৮ ঘন্টা পর ২ অপহৃত উদ্ধার

আপডেট: ০৬:১০:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার :

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পৌর সভার সামনে থেকে অপহৃত কচুয়া ১১নং গোহট ইউনিয়নের গোবিন্দপুর জমাদ্দার বাড়ির আব্দুল মজিদের ছেলে মো. সুজন মিয়া (কসমেটিক্স ব্যাবসায়ী), একই ইউনিয়নের নাউপুরা গ্রামের ভুঁইয়া বাড়ির মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. সুমন (শিক্ষার্থী) অপহরণের ১৫ ঘন্টা পর বুধবার দুপুর ২ টায় উপজেলার টোরাগড় গ্রাম হতে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন (হাজীগঞ্জ সার্কেল) জানান, বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১০ টায় অপহৃতদের পরিবারের লোকজন গণমাধ্যমকর্মী সাইফুল ইসলাম সিফাত ও মানবাধিকার নেতা মজিবুর রহমান রনিকে নিয়ে সার্কেল অফিসে এসে জানায়, মঙ্গলবার রাত ১১টায় সিএনজির সহযাত্রীবেসে কচুয়ার এক ব্যাবসায়ী ও এক শিক্ষার্থীকে অজ্ঞান করে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। জ্ঞান ফিরলে পরিবারের কাছে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য চাপ দেয় এবং নির্যাতন চালায়।

এসময় প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের লোকেশন সনাক্ত করতঃ ভিকটিমদ্বয়কে হাজীগঞ্জ পৌর সভার পিছনে মোশারফ ভিলার তিন তলা বিল্ডিং এর নিচ তলা হতে উদ্ধার করা হয়। উক্ত বাসাটি চলমান মাসেই ভাড়া নেয় বলে জানান বাড়ির মালিক।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন আরো জানান, অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লাপাত্তা হয় অপহরনকারীরা।

পরে সন্ধায় হাজীগঞ্জ মধ্য বাজারের একটি বিকাশ এজেন্ট থেকে টাকা উত্তোলণের সময় অপহরনকারী দলের এক নারী সদস্য মুক্তাকে কৌশলে আটক করা হয়। পলাতক অপহরনকারীদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

অপহৃত সুজন ও সুমন জানান, মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে হাজীগঞ্জ বাজার থেকে সিএনজি যোগে কালিয়াপাড়া যাওয়ার পথে হাজীগঞ্জ পৌরসভার সম্মুখে একদল যুবক তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোড়পূর্বক পৌরসভার পেছনে মোশারফ ভিলায় আটক করে রাখে। পরে তাদের পরিবারের লোকজনকে ফোন দিয়ে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।

এসময় অপহরনকারী চক্রের দলনেতা নাজমুল ও চোরা জুয়েল কাঠের রোল দিয়ে সারারাত তাদের বেধম মারধর করে।