ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আব্দুল খালেক (৬৫) নামের এক কবিরাজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুক্তাগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সন্তানের আশায় ঝাড়ফুঁক ও কবিরাজি ঔষধ নিতে ওই কবিরাজের কাছে গিয়েছিলেন নারী। এর পর তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে উল্লেখ করে শুক্রবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই নারী ঘটনার বর্ণনা দেয়। এ সময় তিনি মৌখিক অভিযোগ দিলে এদিন রাতে কবিরাজ আব্দুল খালেককে তার বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে আসা হয়। পরদিন শনিবার (১৫ মার্চ) ওই নারী লিখিত অভিযোগ দিলে রাতেই অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিবদ্ধ করা হয়েছে। মামলার একমাত্র আসামি আব্দুল খালেক।
আব্দুল খালেক একই উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের বড় বাজাইল গ্রামের নবিগঞ্জ বাজার এলাকার মৃত নসু খার ছেলে। ওই নারী (৩৬) একই উপজেলায় স্বামীকে নিয়ে বসবাস করেন।
ভুক্তভোগী ও মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছর আগে ওই নারীর বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই সন্তান গর্ভে ধারণ করতে চেষ্টা চালান নারী। কিন্তু সন্তান হওয়ার কোনো লক্ষণ ধরা পরছিল না। এদিকে আব্দুল খালেক এলাকায় স্বনামধন্য কবিরাজ হিসেবে পরিচিত। তার ঝাড়ফুঁক আর দেওয়া বিভিন্ন ঔষধ খেয়ে সবধরনের রোগ ভালো হয় বলে প্রচারণা রয়েছে। কারও সন্তান না হলে কবিরাজের শরণাপন্ন হলে গর্ভবতী হন যেকোনো নারী। এমন বিশ্বাসে সন্তান পেতে ওই নারী কবিরাজ আব্দুল খালেকের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতে থাকেন। সুনিশ্চিত সন্তান হবে এমন আশ্বাস দিয়ে ১৫ হাজার টাকা নেন আব্দুল খালেক। চলতি বছরের ৮ মার্চ ওই নারী আবারও কবিরাজের বাড়িতে যান। গিয়ে জানতে চান, সন্তান হতে আরও কতদিন সময় লাগতে পারে। এ সময় ওই নারীকে বুঝিয়ে একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন কবিরাজ। এর পরই নারী বুঝতে পারেন, কবিরাজ ভণ্ড।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ওই নারীকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। গ্রেপ্তার আব্দুল খালেককে ময়মনসিংহের আদালতে তোলা হয়েছে।