ইসমাইল হোসেন বিপ্লব, কচুয়া ॥
কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নে দুই’শত পরিবারের মাঝে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সেহরি ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে বরইগাঁও যুব উন্নয়ন সংগঠন।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বরইগাঁও গ্রামে দুই’শত দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার সেহরি ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল কাহ্হার মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল আলমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো.নাহিদ ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হাবিবুল বাশার,কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউল করিম, সংগঠনের সাবেক সভাপতি মোঃ মাসুদ আলম,সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসাইন, কাদলা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোশারফ হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, বরইগাঁও যুব উন্নয়ন সংগঠন ২০০৯ সাল থেকে সামাজিক উন্নয়ন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সহ অসহায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে নানাবিধ মানবিক ও সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে।
এ সংগঠন প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকে প্রবাসী, ব্যবসায়ী ও এলাকার সার্বিক সহযোগিতা সামাজিক,মানবিক, দুর্যোগ, ধর্মীয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য,কর্মসংস্থান কার্যক্রমে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় কোটি টাকা দান অনুদান দিয়েছেন।
বিশেষ করে, বরইগাঁও যুব উন্নয়ন সংগঠন মানবিক ও সামাজিক দুস্থ ও প্রতিবন্ধী জীবিকা নির্বাহ করার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করছেন। ধর্মীয় কার্যক্রমে ওয়াজ মাহফিল ও ধর্মীয় সেমিনার প্রোগ্রামসহ বিভিন্ন এতিমখানা মাদ্রাসায় সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুদান দিয়ে আসছেন। শিক্ষা কার্যক্রমে অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সহায়তা ভাতা, মেধাবৃত্তি, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও শতভাগ শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা,বেকারত্ব দূর করা ও কৃষকদের মধ্যে বিভিন্ন মেয়াদে সুদমুক্ত ২০ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছেন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে মেডিকেল ক্যাম্প, বিনামূল্য চিকিৎসা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
এছাড়াও সংগঠনটি মহামারী করোনার সময় অসহায় গরীব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সাম্প্রতিক সময় ২০২৪ সালে ভয়াবহ বন্যায় কুমিল্লা,লাকসাম ও কচুয়া পিপুলকরা এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে নগদ অর্থ ১০ লক্ষ টাকা, চিকিৎসা প্রদান, খাবার বিতরণ ও বস্ত্র বিতরণ করছেন।