মেঘনায় ইলিশ শিকারের দায়ে ৬ জেলের কারাদন্ড

ছবি-নতুনেরকথা।

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে প্রজনন রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ ধরার দায়ে ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিল্লোল চাকমা।

কারাদন্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন-চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের সাখুয়া ও রামদাসদী গ্রামের হাফেজ সৈয়ালের ছেলে খোরশেদ সৈয়াল (২৫), লতিফ খানের ছেলে অজুদ খান (২৪), মৃত খোরশেদ ব্যাপারীর ছেলে জাকির ব্যাপারী (৪০), মৃত বিল্লাল গাজীর ছেলে মানিক গাজী (২৮), মৃত সোলায়মান গাজীর ছেলে আল-আমিন (২৬) ও নুরুল ইসলামের ছেলে হাবিবুর রহমান।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গতকাল শনিবার দিনগত রাত ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স পদ্মা-মেঘনার সদরের অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ৬ জেলেকে আটক করা হয়। একই সময় জেলেদের হেফজাত থেকে ৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্টজাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

অভিযানে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন, উপসহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহজাহান, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।

সাগর থেকে নদীর মিঠা পানিতে আসা ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে গত ১৩ অক্টোবর থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন অভয়াশ্রম এলাকায় সকল ধরণের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুদ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আইন অমান্য করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড এবং উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

সকালে ‘রিট করে’ বিকেলেই সুর পাল্টালেন সারজিস 

মেঘনায় ইলিশ শিকারের দায়ে ৬ জেলের কারাদন্ড

আপডেট: ০৭:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে প্রজনন রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ ধরার দায়ে ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিল্লোল চাকমা।

কারাদন্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন-চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের সাখুয়া ও রামদাসদী গ্রামের হাফেজ সৈয়ালের ছেলে খোরশেদ সৈয়াল (২৫), লতিফ খানের ছেলে অজুদ খান (২৪), মৃত খোরশেদ ব্যাপারীর ছেলে জাকির ব্যাপারী (৪০), মৃত বিল্লাল গাজীর ছেলে মানিক গাজী (২৮), মৃত সোলায়মান গাজীর ছেলে আল-আমিন (২৬) ও নুরুল ইসলামের ছেলে হাবিবুর রহমান।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গতকাল শনিবার দিনগত রাত ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স পদ্মা-মেঘনার সদরের অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ৬ জেলেকে আটক করা হয়। একই সময় জেলেদের হেফজাত থেকে ৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্টজাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

অভিযানে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন, উপসহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহজাহান, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।

সাগর থেকে নদীর মিঠা পানিতে আসা ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে গত ১৩ অক্টোবর থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন অভয়াশ্রম এলাকায় সকল ধরণের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুদ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আইন অমান্য করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড এবং উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে।