আটককৃত জেলেদের ১ বছর করে সাজা প্রদান

হাইমচরে জেলেদের হামলায় মৎস্য অফিসারসহ আহত ৫, ইউপি সদস্যসহ আটক ৪

ছবি-নতুনেরকথা।

হাইমচরের মেঘনায় মা’ ইলিশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করার সময় জেলেদের হামলায় উপজেলা মৎস্য অফিসার এবি এম আশরাফুল আলমসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। ইউপি সদস্য সহ ৪ জেলেকে আটক করেছে হাইমচর উপজেলা মৎস্য অফিস। আটককৃত আবুল বাশার দর্জি হানারচর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য । আটককৃত সকল জেলেদের এক বছর করে শশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানাজায়, মঙ্গলবার বিকেল ৫ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা মৎস্য অফিসের ১০ জনের একটি টিম। রাত ১০ টার দিকে হাইমচরের সীমানায় জাল পেলে মাছ নিধন করছিল কতিপয় জেলে। মৎস্য অফিসের বোট তাদের দিকে এগিয়ে গেলে জেলেরা তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল মারতে শুরু করে। মৎস্য অফিসের লোকজন তাদের কাছাকাছি গেলে জেলেরা বৈঠা দিয়ে আঘাত করতে থাকে। জেলেদের হামলায় মৎস্য অফিসার সহ আরও ৪ স্টাফ আহত হয়। ৪০ মিনিট ধাওয়া করে ৪ জেলেকে আটক করতে সক্ষম হয় মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা। আটককৃত জেলেরা হলেন বারেক দর্জির ছেলে আবুল বাশার দর্জি (৪০)। তিনি হানার চর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য। একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আহম্মদ আলী (২৮), রুহুল আমিনের ছেলে আবদুল বারেক ছৈয়াল(৩২) ও লক্ষীপুর ইউনিয়নের ইমান রাড়ীর ছেলে আহমেদ আলী (২৮)। পরে বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে আটককৃত জেলেদের ১ বছর করে শশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা।

উপজেলা মৎস্য অফিসার এবি এম আশরাফুল আলম জানান, প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার বিকেলে নদীতে অভিযানে যান তারা। অভিযান চলাকালীন সময়ে রাতের অন্ধকারে অসাধু কিছু জেলে মাছ নিধন করছিল। জেলেদের দিকে অভিযানের বোট এগিয়ে গেলে জেলেরা হিংস্র ভাবে তাদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় তারা আহত হওয়ার পরও জেলেদের ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হন। পরে আহত মৎস্য কর্মকর্তা ও আহত স্টাফরা প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা গ্রহন করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, জেলেরা যে ভাবে হিংসাত্মক হয়ে মৎস্য কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালিয়েছিলো বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারতো। তাই আমি তাদের ১ বছর করে সাজা প্রদান করেছি। যাতে করে ভবিষ্যতে কোন জেলে কোন কর্মকর্তাদের উপর হামলা করার সাহস না হয়। যদি কোন জেলে আবারও হামলা করে তাদের আরও বড় ধরনের সাজা প্রদান করবো। জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

সকালে ‘রিট করে’ বিকেলেই সুর পাল্টালেন সারজিস 

আটককৃত জেলেদের ১ বছর করে সাজা প্রদান

হাইমচরে জেলেদের হামলায় মৎস্য অফিসারসহ আহত ৫, ইউপি সদস্যসহ আটক ৪

আপডেট: ০৮:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

হাইমচরের মেঘনায় মা’ ইলিশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করার সময় জেলেদের হামলায় উপজেলা মৎস্য অফিসার এবি এম আশরাফুল আলমসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। ইউপি সদস্য সহ ৪ জেলেকে আটক করেছে হাইমচর উপজেলা মৎস্য অফিস। আটককৃত আবুল বাশার দর্জি হানারচর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য । আটককৃত সকল জেলেদের এক বছর করে শশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানাজায়, মঙ্গলবার বিকেল ৫ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা মৎস্য অফিসের ১০ জনের একটি টিম। রাত ১০ টার দিকে হাইমচরের সীমানায় জাল পেলে মাছ নিধন করছিল কতিপয় জেলে। মৎস্য অফিসের বোট তাদের দিকে এগিয়ে গেলে জেলেরা তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল মারতে শুরু করে। মৎস্য অফিসের লোকজন তাদের কাছাকাছি গেলে জেলেরা বৈঠা দিয়ে আঘাত করতে থাকে। জেলেদের হামলায় মৎস্য অফিসার সহ আরও ৪ স্টাফ আহত হয়। ৪০ মিনিট ধাওয়া করে ৪ জেলেকে আটক করতে সক্ষম হয় মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা। আটককৃত জেলেরা হলেন বারেক দর্জির ছেলে আবুল বাশার দর্জি (৪০)। তিনি হানার চর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য। একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আহম্মদ আলী (২৮), রুহুল আমিনের ছেলে আবদুল বারেক ছৈয়াল(৩২) ও লক্ষীপুর ইউনিয়নের ইমান রাড়ীর ছেলে আহমেদ আলী (২৮)। পরে বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে আটককৃত জেলেদের ১ বছর করে শশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা।

উপজেলা মৎস্য অফিসার এবি এম আশরাফুল আলম জানান, প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার বিকেলে নদীতে অভিযানে যান তারা। অভিযান চলাকালীন সময়ে রাতের অন্ধকারে অসাধু কিছু জেলে মাছ নিধন করছিল। জেলেদের দিকে অভিযানের বোট এগিয়ে গেলে জেলেরা হিংস্র ভাবে তাদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় তারা আহত হওয়ার পরও জেলেদের ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হন। পরে আহত মৎস্য কর্মকর্তা ও আহত স্টাফরা প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা গ্রহন করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, জেলেরা যে ভাবে হিংসাত্মক হয়ে মৎস্য কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালিয়েছিলো বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারতো। তাই আমি তাদের ১ বছর করে সাজা প্রদান করেছি। যাতে করে ভবিষ্যতে কোন জেলে কোন কর্মকর্তাদের উপর হামলা করার সাহস না হয়। যদি কোন জেলে আবারও হামলা করে তাদের আরও বড় ধরনের সাজা প্রদান করবো। জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।