মতলবে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু

  • আপডেট: ০৩:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৯
  • ৮০
মতলব দক্ষিণ প্রতিনিধি:
মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব বাকরা নিতাই হুতার বাড়ীতে ঘরের আড়ার সাথে কাপড় প্যাচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে সীমা (৩৫) নামে দুই সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার ( ৩ আগস্ট) বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থ থেকে লাশ উদ্বার করে মর্গে প্রেরণ করে।
সীমার মেয়ে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাথী জানায়, সকালে মায়ের সাথে কথা বলে আমি ও আমার ভাই কিশোর ধলাইতলী জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে চলে যাই। বিকেলে ফিরে এসে মাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে পাশ্ববর্তী নুতন বাড়ীতে চলে যাই। এ সময় ঘরের দরজা জানাজা বন্ধ দেখে মাকে ডাকতে থাকি। ভিতর থেকে কোন জবাব না পেয়ে পাশ্ববর্তী বাড়ী থেকে মই এনে ঘরের বেড়ার উপর দিয়ে দেখতে পাই ঘরের আড়ার সাথে মায়ের লাশ ঝুলে আছে। আমার ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন দৌড়ে এসে আমিসহ ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করি। পরে এলাকাবাসী মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
সীমার ননদ অর্চনা সূত্রধর জানায়, আমার ভাই সমীর সূত্রধর প্রবাসে থাকে। সে দুপুরের দিকে আমার মুঠোফোনে কল দিয়ে তাদের খোঁজ খবর নেয়। বৌদি প্রায় সময় পাশ্ববর্তী নতুন বাড়ীতে গিয়ে সেলাইয়ের কাজ করতো এবং সেখানে বিভিন্ন ফল ফলাদি গাছ দেখাশুনা করতো।
সীমার মৃত্যুর খবর শুনে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক লক্ষন চন্দ্র সূত্রধর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। মৃত সীমা চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের বোন বলে জানা যায়।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএমএস ইকবাল বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যে কারণে পুরুষে ৪টি বিয়ের পক্ষে হীরা সুমরো

মতলবে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু

আপডেট: ০৩:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৯
মতলব দক্ষিণ প্রতিনিধি:
মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব বাকরা নিতাই হুতার বাড়ীতে ঘরের আড়ার সাথে কাপড় প্যাচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে সীমা (৩৫) নামে দুই সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার ( ৩ আগস্ট) বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থ থেকে লাশ উদ্বার করে মর্গে প্রেরণ করে।
সীমার মেয়ে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাথী জানায়, সকালে মায়ের সাথে কথা বলে আমি ও আমার ভাই কিশোর ধলাইতলী জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে চলে যাই। বিকেলে ফিরে এসে মাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে পাশ্ববর্তী নুতন বাড়ীতে চলে যাই। এ সময় ঘরের দরজা জানাজা বন্ধ দেখে মাকে ডাকতে থাকি। ভিতর থেকে কোন জবাব না পেয়ে পাশ্ববর্তী বাড়ী থেকে মই এনে ঘরের বেড়ার উপর দিয়ে দেখতে পাই ঘরের আড়ার সাথে মায়ের লাশ ঝুলে আছে। আমার ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন দৌড়ে এসে আমিসহ ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করি। পরে এলাকাবাসী মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
সীমার ননদ অর্চনা সূত্রধর জানায়, আমার ভাই সমীর সূত্রধর প্রবাসে থাকে। সে দুপুরের দিকে আমার মুঠোফোনে কল দিয়ে তাদের খোঁজ খবর নেয়। বৌদি প্রায় সময় পাশ্ববর্তী নতুন বাড়ীতে গিয়ে সেলাইয়ের কাজ করতো এবং সেখানে বিভিন্ন ফল ফলাদি গাছ দেখাশুনা করতো।
সীমার মৃত্যুর খবর শুনে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক লক্ষন চন্দ্র সূত্রধর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। মৃত সীমা চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের বোন বলে জানা যায়।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএমএস ইকবাল বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।