ফিলিপাইনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত লক্ষাধিক, প্রাণহানি ৪৫৬

  • আপডেট: ০৯:৫৩:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৯
  • ৭৭

অনলাইন ডেস্ক:

ফিলিপাইনে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ২৫ জুলাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত দেশটিতে ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে ৪৫৬ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই হিসেব বলছে, আক্রান্তদের ৩০ শতাংশের বয়স ৫-৯ বছর। ডেঙ্গু রোগে মারা যাওয়াদের মধ্যে একটা বড় অংশের (৪০%) বয়স ৫-৯ বছরের মধ্যে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই (৫৫%) পুরুষ হলেও এ রোগে প্রাণ হারানোদের বেশিরভাগই নারী (৫৩%)।

সম্প্রতি দেশটির স্বাস্থ্য দফতর ‘জাতীয় ডেঙ্গু সতর্কতা’ জারি করেছে।

ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রোগীদের শারীরিক অবস্থাকে বিবেচনায় নিয়ে গ্রুপ এ, বি ও সি এ তিন ভাগে ভাগ করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

যেসব রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে সক্ষম তাদেরকে রাখা হয়েছে গ্রুপ ‘এ’-তে। যাদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া দরকার, তাদের রাখা হচ্ছে গ্রুপ বি-তে এবং যাদের আশু জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন তাদেরকে রাখা হয়েছে গ্রুপ সি-তে।

ফিলিপাইনে প্রতি তিন-চার বছর পর পর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। দেশটিতে সর্বশেষ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় ২০১৬ সালে। সে প্রবণতা অনুযায়ী, এ বছরও আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে মিমারোপা, ওয়েস্টার্ন ভিসায়াস, সেন্ট্রাল ভিসায়াস ও নর্দার্ন মিন্দানাও-সহ চারটি অঞ্চলে মহামারি ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকায় ২ কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস, যা ফিলিপাইনের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

ফিলিপাইনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত লক্ষাধিক, প্রাণহানি ৪৫৬

আপডেট: ০৯:৫৩:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

ফিলিপাইনে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ২৫ জুলাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত দেশটিতে ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে ৪৫৬ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই হিসেব বলছে, আক্রান্তদের ৩০ শতাংশের বয়স ৫-৯ বছর। ডেঙ্গু রোগে মারা যাওয়াদের মধ্যে একটা বড় অংশের (৪০%) বয়স ৫-৯ বছরের মধ্যে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই (৫৫%) পুরুষ হলেও এ রোগে প্রাণ হারানোদের বেশিরভাগই নারী (৫৩%)।

সম্প্রতি দেশটির স্বাস্থ্য দফতর ‘জাতীয় ডেঙ্গু সতর্কতা’ জারি করেছে।

ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রোগীদের শারীরিক অবস্থাকে বিবেচনায় নিয়ে গ্রুপ এ, বি ও সি এ তিন ভাগে ভাগ করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

যেসব রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে সক্ষম তাদেরকে রাখা হয়েছে গ্রুপ ‘এ’-তে। যাদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া দরকার, তাদের রাখা হচ্ছে গ্রুপ বি-তে এবং যাদের আশু জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন তাদেরকে রাখা হয়েছে গ্রুপ সি-তে।

ফিলিপাইনে প্রতি তিন-চার বছর পর পর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। দেশটিতে সর্বশেষ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় ২০১৬ সালে। সে প্রবণতা অনুযায়ী, এ বছরও আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে মিমারোপা, ওয়েস্টার্ন ভিসায়াস, সেন্ট্রাল ভিসায়াস ও নর্দার্ন মিন্দানাও-সহ চারটি অঞ্চলে মহামারি ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকায় ২ কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস, যা ফিলিপাইনের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ।