কচুয়ায় অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের হিড়িক

কচুয়ায় নিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে ফসলী জমি থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন ।

কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক স্থানে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের হিড়িক লেগে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানের ভূমিকা নিষ্ক্রিয় দেখা গেছে। অবৈধ ড্রেজার মেশিন বন্ধর জন্য ভুক্তভোগীরা অনেকে অভিযোগ দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না। বর্তমানে ড্রেজার মালিক ও বালু ব্যবসায়ীদের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে বিপুল সংখ্যক ফসলি জমি। এতে করে কৃষি জমি নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে অনেক কৃষক। এছাড়াও দিন দিন ভূখন্ডের ভারসাম্য হুমকির মুখে রয়েছে। ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও কৃষি জমি রক্ষায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।

বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার সাচার ইউনিয়নের বায়েক মোড়ে ৪টি, বজরীখুলা আশ্রায়ন কেন্দ্রের দক্ষিন পাশে ২টি, নয়াকান্দি-রাগদৈল ৩টি। পাথৈর ইউনিয়নের বারৈয়া বাজারের উত্তর পাশে ১টি,বেরকোটা গ্রামে ২টি। বিতারা ইউনিয়নের দুর্ঘাপুর গুঘড়াবিলে ২টি,বাইচারা বাজারের উত্তর পাশে ২টি, শিলাসস্থান বাজারের পশ্চিম পাশে ২টি,নিন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে ১টি। পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ভূইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে ১টি, আইনপুর-শংকরপুর মাঠে ২টি দোয়াটি ২টি, বাছাইয়া ব্রিকফিল্ডের পূর্বপাশে কচুয়া-সাচার সড়কের পাশে ১টি। পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের মালচোয়া বাজারের নন্দনপুর সড়কের পাশে ১টি,দারাশাহী তুলপাই মাঠে ২টি। কাদলা ইউনিয়নরে মনপুরা কাজী বাড়ির পাশে ১টি। কড়ইয়া ইউনিয়নের নোয়াগাঁও কচুয়া-কালিয়াপাড়া সড়কের পাশে ১টি, আকানিয়া কালু মিয়ার বাড়ির পাশে ২টিসহ কচুয়ার একাধিক স্থানে অর্ধশতাধিক অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে কৃষি জমি নষ্ট করে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন ভূমি দস্যুরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার এভাবে বালু উত্তোলনে বাঁধা দিলেও কোন কাজ হয় না। বরং তারা ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে উল্টো কৃষি জমির মালিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ফসলি জমি নষ্ট করে বালু বিক্রি করছেন। কৃষি জমি রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী অসহায় কৃষকরা।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি ) বাপ্পী দত্ত রনি বলেন, ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের লিখিত অভিযোগ পেলে বালু ও ড্রেজার ব্যবায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।

সর্বাধিক পঠিত

সকালে ‘রিট করে’ বিকেলেই সুর পাল্টালেন সারজিস 

কচুয়ায় অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের হিড়িক

আপডেট: ০৯:৩০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক স্থানে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের হিড়িক লেগে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানের ভূমিকা নিষ্ক্রিয় দেখা গেছে। অবৈধ ড্রেজার মেশিন বন্ধর জন্য ভুক্তভোগীরা অনেকে অভিযোগ দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না। বর্তমানে ড্রেজার মালিক ও বালু ব্যবসায়ীদের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে বিপুল সংখ্যক ফসলি জমি। এতে করে কৃষি জমি নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে অনেক কৃষক। এছাড়াও দিন দিন ভূখন্ডের ভারসাম্য হুমকির মুখে রয়েছে। ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও কৃষি জমি রক্ষায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।

বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার সাচার ইউনিয়নের বায়েক মোড়ে ৪টি, বজরীখুলা আশ্রায়ন কেন্দ্রের দক্ষিন পাশে ২টি, নয়াকান্দি-রাগদৈল ৩টি। পাথৈর ইউনিয়নের বারৈয়া বাজারের উত্তর পাশে ১টি,বেরকোটা গ্রামে ২টি। বিতারা ইউনিয়নের দুর্ঘাপুর গুঘড়াবিলে ২টি,বাইচারা বাজারের উত্তর পাশে ২টি, শিলাসস্থান বাজারের পশ্চিম পাশে ২টি,নিন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে ১টি। পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ভূইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে ১টি, আইনপুর-শংকরপুর মাঠে ২টি দোয়াটি ২টি, বাছাইয়া ব্রিকফিল্ডের পূর্বপাশে কচুয়া-সাচার সড়কের পাশে ১টি। পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের মালচোয়া বাজারের নন্দনপুর সড়কের পাশে ১টি,দারাশাহী তুলপাই মাঠে ২টি। কাদলা ইউনিয়নরে মনপুরা কাজী বাড়ির পাশে ১টি। কড়ইয়া ইউনিয়নের নোয়াগাঁও কচুয়া-কালিয়াপাড়া সড়কের পাশে ১টি, আকানিয়া কালু মিয়ার বাড়ির পাশে ২টিসহ কচুয়ার একাধিক স্থানে অর্ধশতাধিক অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে কৃষি জমি নষ্ট করে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন ভূমি দস্যুরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার এভাবে বালু উত্তোলনে বাঁধা দিলেও কোন কাজ হয় না। বরং তারা ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে উল্টো কৃষি জমির মালিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ফসলি জমি নষ্ট করে বালু বিক্রি করছেন। কৃষি জমি রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী অসহায় কৃষকরা।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি ) বাপ্পী দত্ত রনি বলেন, ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের লিখিত অভিযোগ পেলে বালু ও ড্রেজার ব্যবায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।