স্কুল ভিত্তিক কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রম পরিদর্শন উপলক্ষে আলোচনাসভা

  • আপডেট: ০৯:৪৩:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৪৫

ছবি-নতুনেরকথা।

হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে “স্কুল ভিত্তিক কৈশোরকালীন” পুষ্টি কার্যক্রম পরিদর্শনকালে কিশোরীদের সাথে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভার সভাপতিত্বে করেন চাঁদপুর ও লক্ষীপুর জেলার কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রমের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ডিনেটর পুষ্টিবিদ মো. এরশাদ খন সালমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপস শীল।

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম জাহাঙ্গীর, সহকারী শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তার পক্ষে প্রতিনিধি ডা. আজাদুল হক প্রমুখ।

কানাডিয়ান সংস্থ নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যৌথ উদ্যোগে ২০২২ সাল থেকে চাদপুর জেলার প্রতিটি স্কুলে কিশোরীদের মাঝে সপ্তাহে একটি করে আয়রন ও ফলিকএসিড ট্যাবলেট বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবতয়ন হয়ে আসছে। কার্যক্রমটি স্কুল পর্যায়ে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে নিদর্শনা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ।

জেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, চাঁদপুর জেলার শিক্ষার্থীরা সত্যিই ভাগ্যবান এই যে তারা কৈশোরকাল থেকে আয়রনফলিক এসিড ও প্রতিটি ক্লাশে পুষ্টি শিক্ষা পাচ্ছে। এজন্য তিনি বাংলদেশ সরকারকে ও নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশলকে ধন্যবাদ জানান। সপ্তাহে একটি আয়রন ও ফলিক ট্যাবলেটের পাশাপাশি পারিবারিক পর্যায়ে পুষ্টিকর খাবার খেতে পরামর্শ দেন উপজেলা হেলথ কমপ্লেস্কের পেডিএট্রিশিয়ান ডা. আজাদুল হক।

অনুষ্ঠানের সভাপতি পুষ্টিবিদ মো. এরশাদ খান সালমান বলেন, ফাস্টফুড, প্রসেসফুড পরিহার করে ঘরের তৈরী খাবার খেতে হবে। প্রয়োজনে স্কুলে হেলদি টিফিনবক্স বা লাঞ্চবক্স নিয়ে আসতে হবে, কোন ভাবেই না খেয়ে স্কুলে আসা যাবেনা, বাড়ন্ত এই বয়সে পুষ্টি নিশ্চিত না হলে যথাযথ গ্রোথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি রোগাগ্রস্হ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন আজকের কিশোরীরাই আগামীদিনের মা, তাই কিশোরীদের পুষ্টি নিশ্চিত হলেই তারা আগামীতে সুস্থ্য জাতি উপহার দিতে সক্ষম হবে।

স্কুলে কিশোরীদের মাঝে সাপ্তাহিক আয়রন ফলিক ট্যাবলেট বিতরন কার্যক্রম স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগের যৌথ পরিদর্শন।

অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও সহকারি প্রধান শিক্ষক আকবার হোসাইন।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

স্কুল ভিত্তিক কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রম পরিদর্শন উপলক্ষে আলোচনাসভা

আপডেট: ০৯:৪৩:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে “স্কুল ভিত্তিক কৈশোরকালীন” পুষ্টি কার্যক্রম পরিদর্শনকালে কিশোরীদের সাথে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভার সভাপতিত্বে করেন চাঁদপুর ও লক্ষীপুর জেলার কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রমের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ডিনেটর পুষ্টিবিদ মো. এরশাদ খন সালমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপস শীল।

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম জাহাঙ্গীর, সহকারী শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তার পক্ষে প্রতিনিধি ডা. আজাদুল হক প্রমুখ।

কানাডিয়ান সংস্থ নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যৌথ উদ্যোগে ২০২২ সাল থেকে চাদপুর জেলার প্রতিটি স্কুলে কিশোরীদের মাঝে সপ্তাহে একটি করে আয়রন ও ফলিকএসিড ট্যাবলেট বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবতয়ন হয়ে আসছে। কার্যক্রমটি স্কুল পর্যায়ে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে নিদর্শনা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ।

জেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, চাঁদপুর জেলার শিক্ষার্থীরা সত্যিই ভাগ্যবান এই যে তারা কৈশোরকাল থেকে আয়রনফলিক এসিড ও প্রতিটি ক্লাশে পুষ্টি শিক্ষা পাচ্ছে। এজন্য তিনি বাংলদেশ সরকারকে ও নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশলকে ধন্যবাদ জানান। সপ্তাহে একটি আয়রন ও ফলিক ট্যাবলেটের পাশাপাশি পারিবারিক পর্যায়ে পুষ্টিকর খাবার খেতে পরামর্শ দেন উপজেলা হেলথ কমপ্লেস্কের পেডিএট্রিশিয়ান ডা. আজাদুল হক।

অনুষ্ঠানের সভাপতি পুষ্টিবিদ মো. এরশাদ খান সালমান বলেন, ফাস্টফুড, প্রসেসফুড পরিহার করে ঘরের তৈরী খাবার খেতে হবে। প্রয়োজনে স্কুলে হেলদি টিফিনবক্স বা লাঞ্চবক্স নিয়ে আসতে হবে, কোন ভাবেই না খেয়ে স্কুলে আসা যাবেনা, বাড়ন্ত এই বয়সে পুষ্টি নিশ্চিত না হলে যথাযথ গ্রোথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি রোগাগ্রস্হ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন আজকের কিশোরীরাই আগামীদিনের মা, তাই কিশোরীদের পুষ্টি নিশ্চিত হলেই তারা আগামীতে সুস্থ্য জাতি উপহার দিতে সক্ষম হবে।

স্কুলে কিশোরীদের মাঝে সাপ্তাহিক আয়রন ফলিক ট্যাবলেট বিতরন কার্যক্রম স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগের যৌথ পরিদর্শন।

অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও সহকারি প্রধান শিক্ষক আকবার হোসাইন।