টানা বৃষ্টিতে চাঁদপুরে বাড়ছে পদ্মা-মেঘনার পানি

  • আপডেট: ০৯:১০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
  • ৬৮

ছবিটি হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার থেকে তোলা হয়েছে।

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার টানা বৃষ্টি হচ্ছে চাঁদপুরে। কখনো থেমে থেমে আবার কখনো অঝোর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে বৃষ্টির কারণে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে এবং চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের ভেতরে এবং শহরের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে বৃষ্টিপাতের এ তথ্য জানান চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মো. শোয়েব।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এখন পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত আছে।

টানা বৃষ্টির কারণে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের ভেতরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সড়ক, মাছের ঘের ও বসবাড়িতে পানি উঠেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বহু পরিবার। শহরের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আল-আমিন জানান, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়ক ও বসতবাড়িতে পানি উঠেছে। বেড়িবাঁধের পানি না কমায় মাছের ঘেরগুলো নিয়ে খামারিরা খুবই দুশ্চিন্তায় আছে। পানিবন্দি লোকজনও পরিবারের শিশু ও বয়স্ক সদস্যদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা-মেঘনা নদীর পানি বেড়েছে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা ছিল ৩ দশমিক ৭ মিলিমিটার এবং ভাটার সময় ছিল ৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

সকালে ‘রিট করে’ বিকেলেই সুর পাল্টালেন সারজিস 

টানা বৃষ্টিতে চাঁদপুরে বাড়ছে পদ্মা-মেঘনার পানি

আপডেট: ০৯:১০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার টানা বৃষ্টি হচ্ছে চাঁদপুরে। কখনো থেমে থেমে আবার কখনো অঝোর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে বৃষ্টির কারণে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে এবং চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের ভেতরে এবং শহরের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে বৃষ্টিপাতের এ তথ্য জানান চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মো. শোয়েব।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এখন পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত আছে।

টানা বৃষ্টির কারণে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের ভেতরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সড়ক, মাছের ঘের ও বসবাড়িতে পানি উঠেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বহু পরিবার। শহরের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আল-আমিন জানান, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়ক ও বসতবাড়িতে পানি উঠেছে। বেড়িবাঁধের পানি না কমায় মাছের ঘেরগুলো নিয়ে খামারিরা খুবই দুশ্চিন্তায় আছে। পানিবন্দি লোকজনও পরিবারের শিশু ও বয়স্ক সদস্যদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা-মেঘনা নদীর পানি বেড়েছে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা ছিল ৩ দশমিক ৭ মিলিমিটার এবং ভাটার সময় ছিল ৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার।