ফরিদগঞ্জে আগুনে পুড়েছে ৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

  • আপডেট: ০৯:৫৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪
  • ৪৭

ছবি-নতুনেরকথা।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের কাছিয়াড়া গ্রামের আল মদিনা হাসপাতালের সামনে একটি টিনশেড মার্কেটে এই ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-হারুন পাঠানের অটোরিকশার গ্যারেজ, সাহাবুদ্দিনের ফার্নিচারের দোকান, আবুল কালাম আজাদের ভ্যারাইটিজ স্টোর, স্বপনের সেলুন, মাইনুদ্দিন পাটওয়ারীর ভ্যারাইটিজ স্টোর। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ম্যানেজার কামরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ জানা, আজ সকাল ৮টার সময় দোকান খুলতে এসে দেখি হারুন পাঠানের অটোরিকশার গ্যারেজে আগুনের ধোয়া উড়ছে। মুহূর্তের মধ্যে আমার দোকানসহ আগুন দ্রুত আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দিলে তারা এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর মধ্যে আমাদের সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে গড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী হারুন পাঠান ও সাহাবুদ্দিন জানান, কয়েক মিনিটের ব্যবধানে আগুনের লেলিহান শিখা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে এবং নিমেষেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়। আগুনে আমাদের পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে কিটনাশক পানে স্কুলছাত্রীর আ ত্ম হ ত্যা!

ফরিদগঞ্জে আগুনে পুড়েছে ৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

আপডেট: ০৯:৫৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের কাছিয়াড়া গ্রামের আল মদিনা হাসপাতালের সামনে একটি টিনশেড মার্কেটে এই ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-হারুন পাঠানের অটোরিকশার গ্যারেজ, সাহাবুদ্দিনের ফার্নিচারের দোকান, আবুল কালাম আজাদের ভ্যারাইটিজ স্টোর, স্বপনের সেলুন, মাইনুদ্দিন পাটওয়ারীর ভ্যারাইটিজ স্টোর। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ম্যানেজার কামরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ জানা, আজ সকাল ৮টার সময় দোকান খুলতে এসে দেখি হারুন পাঠানের অটোরিকশার গ্যারেজে আগুনের ধোয়া উড়ছে। মুহূর্তের মধ্যে আমার দোকানসহ আগুন দ্রুত আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দিলে তারা এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর মধ্যে আমাদের সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে গড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী হারুন পাঠান ও সাহাবুদ্দিন জানান, কয়েক মিনিটের ব্যবধানে আগুনের লেলিহান শিখা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে এবং নিমেষেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়। আগুনে আমাদের পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।