শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হাজীগঞ্জ-কচুয়া-গৌরিপুর সড়কের হাজীগঞ্জ রেলক্রসিং কাজীরগাঁও এলাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিমেন্টবাহী একটি কাভার্ড ভ্যানে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দূর্বত্তরা। এতে গুরুতর আহত হয় হেলপার খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার রসূলপুর গ্রামের আমিন মিয়ার ছেলে আবদুল মজিদ (২০)। পরে ফায়ার সার্ভিস আহত হেলপারকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে চট্রগ্রামের বার্ণ ইউনিটের রেফার করা হয়।
চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় আবদুল মজিদ মৃত্যুবরণ করেন বলে নিশ্চিত করেন তার বড় ভাই মো. মহিনউদ্দিন।
শুক্রবার রাত ৯টায় জানাযা শেষে তাঁর মরদেহ পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।
মহিনউদ্দিন মুঠো ফোনে বলেন, ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে আবদুল মজিদ দ্বিতীয়। আমরা খুবই গরীব। একটু স্বচ্ছলতার আশায় আমার ছোট ভাই কাভার্ড ভ্যানে হেলপারির কাজ করতো। দূর্বৃত্তদের পেট্রোল বোমার আগুনে জ¦লে আমার ভাই পরপারে চলে গেলো। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আল্লাহ তাদের বিচার করবে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, সিমেন্টবাহী কাভার্ড ভ্যানে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যার নং ১৮। সেই মামলাটি ৩০২ ধারায় হত্যা মামলায় পরিণত হবে। এ মামলায় নামীয় আসামী ১৮জনসহ অজ্ঞাত আরো ২০/৩০জন রয়েছে। এ মামলায় কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।