হাজীগঞ্জে প্রবাসির স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দেবর। মামলার বিবরণে জানাযায়, হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন টোরাগড় ৮নং ওয়ার্ড লালু সর্দার বাড়ীর মেহেদি হাসান মানিকের স্ত্রী এক সন্তানের জননী খাদিজা আকতার (২৭) গত ২২ এপ্রিল পরকীয়া প্রেমিক মহিউদ্দিন সোহাগের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার বড় ভাই মেহেদি হাসান মানিক বিদেশে থাকায় হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ছোট ভাই আবদুল্লাহ আল মামুন।
বাদ তার আরজীতে উল্লেখ করেন, বিবাদ আমার আপন ভাবী অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির লোক। বিবাদী খাদিজা আকতারের স্বামী আমার বড় ভাই মেহেদি হাসান মানিক প্রবাসে থাকেন। আমার ভাই প্রবাসে থাকার সুবাদে আমার ভাবীকে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভনে আমারই আপন চাচাতো ভাই মহিউদ্দিন সোহাগের সাথে পরকীয়া করে পালিয়ে যায়।
খাদিজা বেগম বাবার বাড়ী যাওয়ার নাম করে আমার ভাইয়ের ঘর করার জন্য জমানো নগদ ১৫ লক্ষ টাকা, প্রায় ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে পরকীয়া প্রেমিক সোহাগের হাত ধরে পালিয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়।
মামলার বাদী আবদুল্লাহ আল মামুন তার আরজীতে আরো উল্লেখ করেন এ বিষয়ে সোহাগের পরিবারকে অবহিত করলে তারা উত্তেজিত হইয়া আমাকে একা পাইলে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকী প্রদান করেন।
এ বিষয়ে প্রবাসির স্ত্রী খাদিজা বেগম এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আমি কারো সাথে পালিয়ে যায়নি। আমার স্বামী ৫-৬ বছর যাবত বিদেশ রয়েছে। আমার দেবর আমাকে যৌন হয়রানি করে। আমার বাবা-মা ও শশুর-শাশুড়ীর কাছে বিচার দিলে বিচার পাইনা। তাই আমি নিজ জিম্মায় রয়েছি।
বিষয়ে মহিউদ্দিন সোহাগের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে সে জানাই, আমি আমার কাজ-কাম নিয়ে ব্যস্ত আছি। আমি আমার বাড়ীতেই আছি। যদি পালিয়ে যেতাম, তাহলে আমি বাড়ীতে কিভাবে থাকি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ সব করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা হাজীগঞ্জ থানার এসআই মনির হোসেন বলেন, এমন একটি অভিযোগ আমার কাছে আছে, তবে বাদী কোন প্রতিকার চাইনা। তারা বিজ্ঞ আদালতে মামলা করবেন বলে জানান।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, বিষয়টি এ এস আই মনির তদন্ত করছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।