সারা দেশের ন্যায় খুবই আনন্দঘন পরিবেশে চাঁদপুর সরকারি হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে ২০২৪ সালের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান।
তিনি বক্তব্যে বলেন, নতুন বছরের নতুন বই শিক্ষার্থীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার। আজকে সারা বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি শিক্ষার্থীকে প্রায় ৩০ কোটি বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এরমধ্যে চাঁদপুর জেলায় ১২ লক্ষ ৩৬ হাজার প্রাথমিক শাখায় এবং ২২ লক্ষ ২৫ হাজার মাধ্যমিক শাখায় বিনামূল্যে বই প্রদান করা হচ্ছে। বছরের প্রথম দিনে নতুন মাত্রায় আনন্দের ঢেউ তুলে দিয়েছে আমাদের নতুন বই। আমাদের সবার এই নতুন বই পড়তে ভালো লাগে আবার যদি সেটি বিনামূল্যে হয় তাহলে আরো ভালো হয়।
তিনি আরো বলেন, এই যে বিনামূল্যে নতুন বই দেওয়া হচ্ছে এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য উপহার। আমি সম্মানিত অভিভাবকদের অনুরোধ করবো আপনাদের সন্তানরা যেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একজন ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে, সে চেষ্টাটাই আপনারা করবেন। আপনার সন্তান যেন মাদক, ইভটিজিং, স্মার্টফোন আসক্তি, নেশা, কিশোর গ্যাং যেন কোনোভাবেই আসক্তি করতে না পারে সেদিকে আপনারা খেয়াল রাখবেন। তারা যেন নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে এবং বিদ্যালয়ের থেকে যে পড়াটি দেয়া হয় শুধু সেটাই দেখবেন না। আপনারা দেখবেন বিদ্যালয়ে যে পড়া দেয়া হচ্ছে সেটি ঠিকমতো শিখছে কিনা সেটিও মাঝেমধ্যে খেয়াল রাখবেন। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে এই বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অধিকার নিয়েছি। আমরা যদি শিক্ষার্থীদের স্মার্ট সিটিজেন হিসাবে গড়ে তুলতে না পারি তাহলে কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে না।
হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও হিসাব কাম অফিস সহকারী কাউসার আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার প্রান কৃষ্ণ দেবনাথ।
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মুস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র শিক্ষক রেহানা ইয়াসমিন।
এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা মুলক বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শ্যামল কৃষ্ণ পাল ও বিদায়ী শিক্ষক সুলতানা ফেরদৌস আরা।
শুরুতেই জাতীয় সংগীত ও ফুলের শুভেচ্ছার মাধ্যমে শুভ অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয় এবং পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মেহরাজ মিজি তুহিন, গীতা পাঠ করেন নিরব চন্দ্র দাস।