চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার রুহিতারপাড় জলাশয়ের বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর সাথে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ৬ রাউন্ড গুলিসহ পিস্তল ও দেশীয় কাঠের বাট যুক্ত লোহার তৈরি লম্বা রাম দা এলাকাবাসী জব্দ করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। মারধরের ঘটনায় ২জন আহত হয়।
১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রুহিতারপাড় জলাশয়ে এ ঘটনা ঘটে। রুহিতারপাড় গ্রামের মৃত. সাইজ উদ্দিন প্রধানের ছেলে ইব্রাহিম খলিল বাদি হয়ে মতলব উত্তর থানায় দুইজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রুহিতারপাড় জলাশয়ের বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর সাথে সংঘর্ষ হয়।
রুহিতারপাড় জলাশয় জহির চৌধুরী ইজারা নিয়া মাছ চাষ করছে। জহির চৌধুরী জলাশয়ে মাটি খনন করার জন্য ড্রেজার মেশিন বসালে স্থানীয় জনগন বাঁধা দেন। একপর্যায়ে ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ১৫/২০জন আগ্নেয়াস্ত্র ও সহ গ্রামবাসির উপর উপর আক্রমন করে। ৬ রাউন্ড গুলিসহ পিস্তল ও দেশীয় কাঠের বাট যুক্ত লোহার তৈরি লম্বা রাম দা এলাকাবাসী জব্দ করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এতে মো. রিয়াদ ও আকবর ফরাজী আহত হয়।
এ ব্যাপারে ইব্রাহিম খলিল বাদি হয়ে রুহিতারপাড় গ্রামের মহর আলী সরদারের ছেলে মো. সোহাগ (৪০) ও ঘনিয়ারপাড়ের মুছা বেপারী (৩২)কে বিবাদি করে ১৬ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ১৯অ/১৯(ঊ)/১৯(ঋ) ঞযব অৎসং অপঃ, ১৮৭৮; পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ আগ্রেয়াস্ত্র (পিস্তল) ও গোলাবারুদ হেফাজতে রাখা এবং প্রদর্শন করার অপরাধ।
আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় মো. সোহাগ সরদার ও মুছা বেপারীকে আসামী করা হয়। এছাড়া মারধরের ঘটনায় মো. মুছা বেপারীকে প্রধান আসামী করে মো. সোহাগ সরদার, মো. রুবেল, নূরে আলম, মো. হারুন, মো. বাপ্পী, মো. সুজন, শাহদাত হোসেন, মো. হাসান, মো. আলাউদ্দিন, রসুল মিয়া ও নূরে আলম’সহ অজ্ঞাত ৪-৫জনকে আসামী করা হয়।
ইব্রাহিম খলিল বলেন, জলাশয়ের মাছ চাষ করার সাথে সাথে একবার জহির চৌধুরী বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেছে। আবারো তিনি অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার জন্য ড্রেজার মেশিন বসালে আমরা বাঁধা দেই। এ সময় তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে। এ সময় গ্রামবাসীর পিস্তল, গুলি ও রাম দা জব্দ করা করে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। আমাদের দুই আহত হয়। এ ঘটনায় মতলব উত্তর থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, এলাকাবাসীর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬ রাউন্ড গুলিসহ পিস্তল ও রাম দা জব্দ করা হয় এবং মারামারি ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে দুটি মামলা করা হয়েছে। আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।