মাত্র ২০ টাকার জন্য কচুয়ার ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবআলমের বর্বরতা

  • আপডেট: ০৮:৩৬:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৫৮

ছবি-নতুনেরকথা।

মাত্র ২০টাকার জন্য দোকানদারের গায়ে ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দিয়েছে কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম। শুক্রবার গভীর রাতে কচুয়া বিশ^রোডে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলামের বর্বর নির্যাতনের শিকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মকবুল খান পৌরসভাধীন কোয়া ৩নং ওয়ার্ডের মৃত জাফর আলির ছেলে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মকবুল খান জানান, রাতে এক ব্যক্তি ভাইস চেয়ারম্যানের জন্য ভ্যানসন সিগারেট নিতে আসেন। সিগারেটের প্যাকেট প্রথমে ৩৫০ টাকা রাখলেও পরে ২০টাকা ফেরত দেয়া হয়। কিন্তু সে ২০টাকা ফেরত না নিয়ে কিছুক্ষণ পর ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবআলমসহ দলবল নিয়ে আমার দোকানে এসে হামলা করে আমার দোকান ভাংচুর করে এবং চা বানানোর জন্য রাখা গরম পানি আমার গায়ে ঢেলে দেয়। এ সময় আমার চিৎকার করলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরবর্তীতে আমি যেনো হাসপাতালে না যেতে পারি এজন্য তারা পাহাড়া বসায়। রাতে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেও তারা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের কথা শুনে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেনি। পরে পালিয়ে এসে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছি।

এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কয়েকবার করলেও সে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইব্রাহীম খলিল জানান, বিষয়টি আমি শোনার সাথে সাথে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাঠিয়েছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মাহবুব আলমের বড় ভাই মামুনের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় নিশি নামে এক তরুণী গণধর্ষণ মামলা করেছে। সেই মামলারও ডিএনএ টেস্ট দু’ একদিনের মধ্যে করা হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

মাত্র ২০ টাকার জন্য কচুয়ার ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবআলমের বর্বরতা

আপডেট: ০৮:৩৬:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মাত্র ২০টাকার জন্য দোকানদারের গায়ে ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দিয়েছে কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম। শুক্রবার গভীর রাতে কচুয়া বিশ^রোডে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলামের বর্বর নির্যাতনের শিকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মকবুল খান পৌরসভাধীন কোয়া ৩নং ওয়ার্ডের মৃত জাফর আলির ছেলে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মকবুল খান জানান, রাতে এক ব্যক্তি ভাইস চেয়ারম্যানের জন্য ভ্যানসন সিগারেট নিতে আসেন। সিগারেটের প্যাকেট প্রথমে ৩৫০ টাকা রাখলেও পরে ২০টাকা ফেরত দেয়া হয়। কিন্তু সে ২০টাকা ফেরত না নিয়ে কিছুক্ষণ পর ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবআলমসহ দলবল নিয়ে আমার দোকানে এসে হামলা করে আমার দোকান ভাংচুর করে এবং চা বানানোর জন্য রাখা গরম পানি আমার গায়ে ঢেলে দেয়। এ সময় আমার চিৎকার করলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরবর্তীতে আমি যেনো হাসপাতালে না যেতে পারি এজন্য তারা পাহাড়া বসায়। রাতে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেও তারা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের কথা শুনে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেনি। পরে পালিয়ে এসে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছি।

এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কয়েকবার করলেও সে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইব্রাহীম খলিল জানান, বিষয়টি আমি শোনার সাথে সাথে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাঠিয়েছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মাহবুব আলমের বড় ভাই মামুনের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় নিশি নামে এক তরুণী গণধর্ষণ মামলা করেছে। সেই মামলারও ডিএনএ টেস্ট দু’ একদিনের মধ্যে করা হবে।