নোয়াখালীতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয়ে রোগী দেখছেন হাজীগঞ্জের এইচএসসি পাশ অমর শীল

  • আপডেট: ১০:৩৯:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩
  • ৩৭

ছবি-নতুনেরকথা।

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে অমর চন্দ্র শীল (৩৪) নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বেগমগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত। একইসঙ্গে ভুয়া চিকিৎসার কারণে রোগীদের জীবন ও নিরাপত্তা বিপন্ন করার অপরাধে জেনারেল মা ও শিশু হসপিটাল কর্তৃপকে নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকালে এ অভিযান পরিচালনা বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার পাবলিক হল এলাকার জেনারেল মা ও শিশু হসপিটাল এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সহযোগিতা করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ। অমর চন্দ্র শীল চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ওলিপুর গ্রামের গিরিন্দ্র শীলের ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, চৌমুহনী পৌরসভার পাবলিক হল এলাকার জেনারেল মা ও শিশু হসপিটালে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হসপিটালের নিচতলায় চেম্বারে ‘সহকারী অধ্যাপক (বিএসএমএমইউ), এমবিবিএস, এফসিপিএস, ডিডিভি স্পেশাল ট্রেনিং ইন ডার্মাটোলজি (থাইল্যান্ড)’-এর ডিগ্রিধারী পরিচয়ে রোগী দেখছিলেন মো. এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি।

জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল হক জানান, তার প্রকৃত নাম অমর চন্দ্র শীল। ২০০৩ সালে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কারিগরি কলেজ থেকে এসএসসি ও ২০০৫ সালে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এর বেশি পড়াশোনা করেননি। জেনারেল মা ও শিশু হসপিটালে তিনি চার মাস ধরে চেম্বার করছেন। প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন রোগী দেখতেন এবং ৭০০ টাকা করে ভিজিট নিতেন।

এর আগে মাইজদীর ট্রাস্ট ওয়ান হসপিটালে চেম্বার করতেন। দুই হসপিটালে গত চার বছর ধরে বহু রোগী দেখেছেন অমর চন্দ্র শীল। পরে জেনারেল ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপ এনামুল নামধারী ওই চিকিৎসকের সঙ্গে চুক্তিপত্র ও সার্টিফিকেট ডিগ্রির সনদপত্র দেখাতে পারেনি। তথ্য-প্রমাণ ও স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে পুলিশে সোপর্দ এবং হসপিটাল কর্তৃপকে নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘চার বছর ধরে বহু রোগী দেখেছেন ওই ভুয়া চিকিৎসক অমর চন্দ্র শীল। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

নোয়াখালীতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয়ে রোগী দেখছেন হাজীগঞ্জের এইচএসসি পাশ অমর শীল

আপডেট: ১০:৩৯:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে অমর চন্দ্র শীল (৩৪) নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বেগমগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত। একইসঙ্গে ভুয়া চিকিৎসার কারণে রোগীদের জীবন ও নিরাপত্তা বিপন্ন করার অপরাধে জেনারেল মা ও শিশু হসপিটাল কর্তৃপকে নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকালে এ অভিযান পরিচালনা বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার পাবলিক হল এলাকার জেনারেল মা ও শিশু হসপিটাল এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সহযোগিতা করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ। অমর চন্দ্র শীল চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ওলিপুর গ্রামের গিরিন্দ্র শীলের ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, চৌমুহনী পৌরসভার পাবলিক হল এলাকার জেনারেল মা ও শিশু হসপিটালে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হসপিটালের নিচতলায় চেম্বারে ‘সহকারী অধ্যাপক (বিএসএমএমইউ), এমবিবিএস, এফসিপিএস, ডিডিভি স্পেশাল ট্রেনিং ইন ডার্মাটোলজি (থাইল্যান্ড)’-এর ডিগ্রিধারী পরিচয়ে রোগী দেখছিলেন মো. এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি।

জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল হক জানান, তার প্রকৃত নাম অমর চন্দ্র শীল। ২০০৩ সালে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কারিগরি কলেজ থেকে এসএসসি ও ২০০৫ সালে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এর বেশি পড়াশোনা করেননি। জেনারেল মা ও শিশু হসপিটালে তিনি চার মাস ধরে চেম্বার করছেন। প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন রোগী দেখতেন এবং ৭০০ টাকা করে ভিজিট নিতেন।

এর আগে মাইজদীর ট্রাস্ট ওয়ান হসপিটালে চেম্বার করতেন। দুই হসপিটালে গত চার বছর ধরে বহু রোগী দেখেছেন অমর চন্দ্র শীল। পরে জেনারেল ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপ এনামুল নামধারী ওই চিকিৎসকের সঙ্গে চুক্তিপত্র ও সার্টিফিকেট ডিগ্রির সনদপত্র দেখাতে পারেনি। তথ্য-প্রমাণ ও স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে পুলিশে সোপর্দ এবং হসপিটাল কর্তৃপকে নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘চার বছর ধরে বহু রোগী দেখেছেন ওই ভুয়া চিকিৎসক অমর চন্দ্র শীল। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’