বিশেষ প্রতিনিধি॥
চাঁদপুর শহরের আব্দুল করিম পাটওয়ারী সড়কে কর্ণফুলি হাসপাতালে সিজার করতে গিয়ে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা এবং দায়িত্ব অবহেলার কারণে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি রফাদফা করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। সেখানে শিশুর জীবনের মূল্য ১০ হাজার টাকা নির্ধারন করা হয়।
সোমবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় ওই হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসক শামছুন্নাহার তানিয়া সিজার করার পরে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর মা রুবিনা আক্তার (২৪) বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে ওই হাসপাতালের তৃতীয় তলায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রুবিনা শহরের তালতলা হোসেন মঞ্জিলের বাসিন্দা মো. মনির হোসেন সোহেলের স্ত্রী। সে পেশায় একজন ইন্স্যুরেন্স কর্মী।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উল্লেখিত হাসপাতালেই রুবিনা পূর্ব থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসছেন। গত ১৬ জুলাই এই হাসপাতালে রুবিনার আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। তখন পর্যন্ত তার গর্ভের শিশু সঠিক অবস্থানে ছিলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান। কিন্তু সোমবার সিজারের পূর্বে রুবিনার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নীরিক্ষা ছাড়াই সিজার করার কারণে শিশুর মৃত্যু হয়। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখলে নবজাতকের মৃত্যু হতনা বলে অভিযোগ রুবিনার শ^শুর মোতালেব হোসেন পান্নুর।
এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য রোগী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে রফদফা করতে আসে। তারা গোপনে ওই হাসপতালের অফিস কক্ষে বসে নবজাতকের জীবনের মূল্য নির্ধারণ করে ১০হাজার টাকা।
এই বিষয়ে রুবিনার শ^শুর মোতালেব হোসেন পান্নু বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিজারের ১ঘন্টা পূর্বে শিশুটি মায়ের গর্ভে ভাল আছে বলে জানান। কিন্তু সিজারের সময় শিশুটির নাবী কাটাপড়ায় মৃত্যুবরণ করেন। এই ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সংঘবদ্ধ চক্র বিষয়টি সমাধানের জন্য বসলে আমার ছেলে ২লাখ টাকা দাবী করে। কিন্তু তার চাপ প্রয়োগ করে ১০ হাজার টাকায় ঘটনাটি রফদফা করে।
হাসপাতালের পরিচালক কাউছার হামিদ তালুকদার এই বিষয়ে বলেন, সিজারের সময় রোগী রুবিনার গর্ভের শিশুটি মরাছিলো। সিজার শেষে মৃত বাচ্চাই বের করা হয়েছে। শিশুর মা বর্তমান অসুস্থ্য আছেন। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শিশুটি মৃত্যুর পূর্বে ভাল ছিলো আমার জানা নেই। আমিত চিকিৎসক না, সে জন্য রোগীর বিষয়ে ভাল বলতে পারব না। রফদফার বিষয়টি আমি জাানিনা।