সেন্ট-মার্টিন ভ্রমণ সীমিত করলে দেশের পর্যটনে বিরুপ প্রভাব ফেলবে

  • আপডেট: ১০:৫১:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২
  • ৩৭

স্টাফ রিপোর্টার:

বিকল্প ব্যবস্থা না করে সেন্ট-মার্টিন ভ্রমণ আশাতীত সীমিত করা বাংলাদেশের পর্যটনে বিরুপ প্রভাব ফেলবে এবং দ্বীপে বসবাসরত মানুষরা মানবেতর জীবনযাপন করবে বলে মনে করেন ট্যুর অপারেটরদের শীর্ষস্থানীয় সংগঠন ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের স্বার্থে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ সীমিত না করে জীব-বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুন্ন রেখে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণ নিশ্চিতে নীতিমালা প্রণয়ন করার জোর দাবি জানায় তারা। পর্যটক আগমন সীমিত করণ কোন প্রতিকার নয় বরং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সেন্ট-মার্টিন দ্বীপ পর্যটকদের জন্য চালু রেখে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন করতে হবে। পর্যটক আগমন সীমিত করলে পর্যটকরা বিদেশমুখী হবে। এতে অনেক বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হবে। অধিকন্তু সেন্ট-মার্টিন দ্বীপে পর্যটন স্থানীয় অধিবাসীদের জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

শনিবার(১১ জুন) ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) ঢাকা ক্লাবে ‘পর্যটন বাঁচান, সেন্ট মার্টিন বাঁচান’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্বেলনে প্রধান অতিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও বাংলাদেশে ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্ণিং বডি মেম্বার মোঃ রাফেউজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সেন্টমার্টিন্স ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, টোয়াবের প্রথম সহ-সভাপতি মোঃ আ. রউফ, টোয়াবের সহ-সভাপতি মোঃ সাহেদ উল্লাহ্, হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন অব সেন্টমার্টিন্স (হোস্ট) সাধারন সম্পাদক আবু জাফর পাটোয়ারী, সী ক্রুজ অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়াব) সভাপতি তোফায়েল আহমেদ ও সাধারন সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর, টোয়াবের পরিচালকবৃন্দ, টোয়াবের সদস্যবৃন্দ, টোয়াবের সচিব, ট্যুরিজম স্টেকহোল্ডারসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টোয়াবের সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হাতে গড়া পর্যটন শিল্প বাংলাদেশের কর্মসংস্থান তথা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকলেই ইনবাউন্ড ও ডমেস্টিক ট্যুরিজমের উপর অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। ইনবাউন্ড ও ডমেস্টিক ট্যুরিজম দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে কক্সবাজার, সেন্ট-মার্টিন দ্বীপ ও এর আশেপাশের এলাকা সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভ্রমন স্থান। প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক দেশী-বিদেশী পর্যটক উক্ত স্থানগুলোতে অবস্থান করে এর জীব-বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে। তাছাড়া সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় ১০ হাজার বাসিন্দাসহ জীবিকার তাগিদে আসা দেশের বিভিন্ন এলাকার আরও ৪ হাজার মানুষ দ্বীপটিতে বসবাস করছেন ।

এ দ্বীপের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের আয়-রোজগারের একমাত্র খাত হলো পর্যটন খাত। দ্বীপের মানুষজন পর্যটকদের ওপর নির্ভর করে আয়-রোজগারের মাধ্যমে সংসার চালাচ্ছেন। এ ছাড়া এ দ্বীপের পর্যটনকে ঘিরে নধপশধিৎফ ষরহশধমব হিসাবে টেকনাফ, কক্সবাজারসহ দেশের প্রায় ৫ লক্ষ লোকের জীবন জীবিকা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

চাঁদপুরে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা

সেন্ট-মার্টিন ভ্রমণ সীমিত করলে দেশের পর্যটনে বিরুপ প্রভাব ফেলবে

আপডেট: ১০:৫১:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার:

বিকল্প ব্যবস্থা না করে সেন্ট-মার্টিন ভ্রমণ আশাতীত সীমিত করা বাংলাদেশের পর্যটনে বিরুপ প্রভাব ফেলবে এবং দ্বীপে বসবাসরত মানুষরা মানবেতর জীবনযাপন করবে বলে মনে করেন ট্যুর অপারেটরদের শীর্ষস্থানীয় সংগঠন ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের স্বার্থে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ সীমিত না করে জীব-বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুন্ন রেখে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণ নিশ্চিতে নীতিমালা প্রণয়ন করার জোর দাবি জানায় তারা। পর্যটক আগমন সীমিত করণ কোন প্রতিকার নয় বরং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সেন্ট-মার্টিন দ্বীপ পর্যটকদের জন্য চালু রেখে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন করতে হবে। পর্যটক আগমন সীমিত করলে পর্যটকরা বিদেশমুখী হবে। এতে অনেক বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হবে। অধিকন্তু সেন্ট-মার্টিন দ্বীপে পর্যটন স্থানীয় অধিবাসীদের জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

শনিবার(১১ জুন) ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) ঢাকা ক্লাবে ‘পর্যটন বাঁচান, সেন্ট মার্টিন বাঁচান’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্বেলনে প্রধান অতিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও বাংলাদেশে ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্ণিং বডি মেম্বার মোঃ রাফেউজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সেন্টমার্টিন্স ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, টোয়াবের প্রথম সহ-সভাপতি মোঃ আ. রউফ, টোয়াবের সহ-সভাপতি মোঃ সাহেদ উল্লাহ্, হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন অব সেন্টমার্টিন্স (হোস্ট) সাধারন সম্পাদক আবু জাফর পাটোয়ারী, সী ক্রুজ অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়াব) সভাপতি তোফায়েল আহমেদ ও সাধারন সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর, টোয়াবের পরিচালকবৃন্দ, টোয়াবের সদস্যবৃন্দ, টোয়াবের সচিব, ট্যুরিজম স্টেকহোল্ডারসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টোয়াবের সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হাতে গড়া পর্যটন শিল্প বাংলাদেশের কর্মসংস্থান তথা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকলেই ইনবাউন্ড ও ডমেস্টিক ট্যুরিজমের উপর অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। ইনবাউন্ড ও ডমেস্টিক ট্যুরিজম দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে কক্সবাজার, সেন্ট-মার্টিন দ্বীপ ও এর আশেপাশের এলাকা সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভ্রমন স্থান। প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক দেশী-বিদেশী পর্যটক উক্ত স্থানগুলোতে অবস্থান করে এর জীব-বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে। তাছাড়া সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় ১০ হাজার বাসিন্দাসহ জীবিকার তাগিদে আসা দেশের বিভিন্ন এলাকার আরও ৪ হাজার মানুষ দ্বীপটিতে বসবাস করছেন ।

এ দ্বীপের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের আয়-রোজগারের একমাত্র খাত হলো পর্যটন খাত। দ্বীপের মানুষজন পর্যটকদের ওপর নির্ভর করে আয়-রোজগারের মাধ্যমে সংসার চালাচ্ছেন। এ ছাড়া এ দ্বীপের পর্যটনকে ঘিরে নধপশধিৎফ ষরহশধমব হিসাবে টেকনাফ, কক্সবাজারসহ দেশের প্রায় ৫ লক্ষ লোকের জীবন জীবিকা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।