দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোভিড মানুষকে একটি শিক্ষা দিয়ে গেছে যে, ধন-সম্পদ-অর্থ এগুলো কিছুই না। মরলে তো সব রেখেই যাবেন। কবরে কিছুই নিয়ে যেতে পারবেন না। কাজেই সম্পদের পিছু ছুটে নিজেকে মানুষের কাছে অসম্মানের জায়গায় রাখার কোনো মানে হয় না। তাই বলছি দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ান।
মঙ্গলবার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ঈদের উপহার হিসেবে প্রায় ৩৩ হাজার পরিবারকে ঘর তুলে দেওয়ার প্রাক্কালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে চলবেন। দুঃখী, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবেন—এটাই হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
‘একটা মানুষকে যদি একটু আশ্রয় দেওয়া যায়, তার মুখে হাসি ফোটানো যায়, তাহলে এর চেয়ে বড় পাওয়া একজন রাজনীতিবিদের কাছে আর কিছু হতে পারে না’—যোগ করেন সরকার প্রধান।
সম্পদের লোভ না করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, অর্থ, বিত্ত, সম্পদ, টাকা-পয়সা কোনো কাজে লাগে না। করোনার প্রকোপের সময় আমরা দেখেছি, হাজার হাজার কোটি টাকার মালিকেরও কিছু করার ছিল না। যারা বাংলাদেশে কোনোদিন চিকিৎসাই নেননি, তাদের এখানেই ভ্যাকসিন নিতে হয়েছে। এর আগে সর্দি কাশি হলেও তারা উড়ে চলে যেত বিদেশে চিকিৎসার জন্য।’
সরকারের চলমান আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ৩২ হাজার ৯০৪টি বাড়ি ভূমিহীন ও গৃহহীনরা ইদের আগে এই উপহার পেল। গৃহহীন-ভূমিহীন উপকারভোগী মানুষরা ইদের আগে জমিসহ ঘর উপহার প্রাপ্তির খুশির আনন্দে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকার উপকারভোগীদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।