নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের সানকিভাঙ্গা গ্রামে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে জনৈকা এক কিশোরী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বার অভিযোগে আটক ইমাম মাহবুব ।
৬ এপ্রিল মতলব উত্তরের কালিপুর বাজার হতে ইমাম মাহবুবকে আটক করে মতলব উত্তর থানা পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের সানকিভাঙ্গা গ্রামের জনৈক দেলোয়ার হোসেনের স্কুল পড়ুয়া কিশোরী মেয়ের সাথে একই গ্রামের সানকিভাঙ্গা (ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মসজিদ) বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহবুব (৩৫) এর প্রেমের সম্পর্কে কিশোরীকে বিভিন্ন লোভ লালসা প্রলোভন দিয়ে কৌশলে প্রায় সাত মাস ধরে মসজিদের ইমাম ধর্ষণ করে আসে। এতে করে ওই স্কুল পড়ুয়া কিশোরী মেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এদিকে ওই মেয়ের শরীরের গঠন অন্তঃসত্ত্বা দেখা দেয়ায় পরিবার থেকে চাপ দিলে সে মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহবুবের নাম বলে।
এ ঘটনায় ঐ কিশোরী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। মাওলানা মাহবুবের বাড়ী পার্শ্ববর্তী জেলা মুন্সিগঞ্জে।
কিশোরী জানায়, বিভিন্ন সময় মসজিদ ইমাম (মাহবুব) আমার শরীরের বিভিন্ন হাত দিত। আমি বাঁধা দিতাম, সে বাঁধা মানতো না। একদিন সে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসব কথা কোথাও জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করার কথা বলে। তাই আমি ভয়ে কোথাও জানাতে সাহস পাইনি। সর্বশেষ আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে মিলিত হয়।
এব্যাপারে মতলব উত্তর থানার এফআইআর নং-২৮, তারিখ- ৩১ মার্চ, ২০২২; ধারা- ৯(১); ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ধারায় মোঃ মাহবুব আলম(৩৫) কে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
মাহবুব আলম মুন্সিগঞ্জ জেলার হোগলা কান্দি গ্রামের আমির হোসেন মোল্লার ছেলে।
এ ঘটনায় জানতে চাইলে মতলব উত্তর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান কামাল জানান, ৬ এপ্রিল রাতে কালিপুর বাজার থেকে ইমাম মাহবুবকে আটক করা হয়। বুধবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।