অনলাইন ডেস্ক:
ইউক্রেনে গত ছয়দিন ধরে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর ইউক্রেনে অভিযান চালানো শুরু করে দেশটির সেনারা।
তবে রাশিয়া যে লক্ষ্য নিয়ে এসেছিল সেটি এখনো তারা অর্জন করতে পারেনি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই সোইগু জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান চালানোর প্রধান লক্ষ্য হলো- রাশিয়াকে পশ্চিমাদের তৈরি সামরিক হুমকি থেকে রক্ষা করা।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার লক্ষ্য হলো ইউক্রেনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লদমির জেলনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া, ইউক্রেনে রাশিয়ার আজ্ঞাবহ সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও ইউক্রেনের বেশিরভাগ সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করা।
মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা যে লক্ষ্য নিয়ে ইউক্রেনে এসেছে সেই লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যহত রাখবে।
এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার ৪০ মাইল দীর্ঘ এক সামরিক বহর। এই বহরে সকল মারণাস্ত্র নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয় যাচ্ছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য পরাশক্তিগুলোর আশঙ্কা রাশিয়ার এ বহর শুধুমাত্র রাজধানী কিয়েভ দখলের উদ্দেশে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যে কোনো সময় কিয়েভের দখল নিয়ে নিতে পারে তারা।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের উপর হামলা শুরু করে রাশিয়া। টানা পাঁচদিন দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ চলার পর সোমবার চলমান যুদ্ধ থামাতে বেলারুশের সীমান্তে আলোচনায় বসে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। তবে এ আলোচনায় কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। আলোচনা চলার সময়ও রাশিয়া তাদের হামলা অব্যহত রেখেছিল। এরপর যখন আলোচনা ব্যর্থ হয়ে যায় তখন রাশিয়া তাদের হামলার তীব্রতা ব্যাপক হারে বাড়িয়ে দেয়।