রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলার দ্বিতীয় দিনেই ইঙ্গিত সংঘাত শেষের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। দু’পক্ষই আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে বলে বিবিসি ও সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রুশ সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন রাশিয়া, বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা বসতে রাজি আছে।
তবে তার আগে ইউক্রেনকে একটা ‘নিরপেক্ষ অবস্থান’ ঘোষণা করতে হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ওই নিরপেক্ষ অবস্থানের অন্তর্ভুক্ত থাকবে ‘বেসামরিকীকরণ’।
রাশিয়া বরাবরই বলে আসছে তারা চায় না, ইউক্রেন কখনই ন্যাটোতে যোগদান করে।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন, কিন্তু রাশিয়ার শর্তে তিনি আলোচনায় বসতে সম্মত হবেন কিনা সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
আলোচনার ভেন্যু হিসেবে মিনস্ক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ২০১৪ সালে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল নিয়ে সংঘাত অবসানের চেষ্টায় এই মিনস্কেই একটা চুক্তি সই হয়েছিল।
ইউক্রেন আক্রমণের মধ্যে দিয়ে রুশ নেতা সেই চুক্তিপত্র কার্যত ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছেন।
এর আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ইউক্রেনের সৈন্যরা যতক্ষণ না অস্ত্র নামিয়ে নিচ্ছে, ততক্ষণ কোনো রকম আলোচনা হবে না।
এদিকে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও বৃহস্পতিবার রাশিয়ার জাতীয় বিমান সংস্থা অ্যারোফ্লটের বিমান ব্রিটেনে অবতরণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাজ্য। এর জবাবে শুক্রবার রাশিয়ার বিমানবন্দরে ব্রিটিশ বিমান অবতরণ নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া। এমনকি নিজের আকাশসীমাতেও ব্রিটিশ বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা।
অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সম্পদ জব্দ করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। পুতিন ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর ইইউ এ নিয়ে ইইউ তৃতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা আরো