মেহেদি আফিফ নৈপূর্ণে বাংলাদেশের বিশ্ব রেকড

  • আপডেট: ১১:২২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৩২

অনলাইন ডেস্ক:

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বুধবার বাংলাদেশকে দুর্দান্ত জয় এনে দেওয়ার পর প্রশংসায় ভাসছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন।

২১৬ রানের জবাবে ৪৫ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের হার তখন প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু সেই নিশ্চিত হার থেকে টাইগারদের বিজয়ী করে তবেই মাঠ ছেড়েছেন মিরাজ-আফিফ। তারা গড়েছেন রেকর্ড ১৭৪ রানের জুটি।

৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর যেখানে তাদের মনোবল ভেঙে যাওয়ার কথা সেখানে আাফিফ ও মিরাজ দুজনই খেলেন ঠান্ডা মাথার ইনিংস। এর পুরস্কার তারা পেয়েছেন হাতেনাতে। দুইজনই অপরাজিত থেকে দলকে এনে দিয়েছেন স্মরণীয় জয়।

মিরাজ ও আফিফের এমন দায়িত্বশীল ব্যাটিং যেমন ভক্তদের মন জুড়িয়েছে, তেমনই বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে জয়।

কিন্তু বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতে দেখা যায় উল্টো চিত্র। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মিশেলে তৈরি টপ অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ।

আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের টপ অর্ডার সাজানো হয়েছে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞদের নিয়ে।

এ চারজন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়। তাদের বাংলাদেশের হয়ে খেলার ম্যাচসংখ্যা ৮৬৫!

কিন্তু আফগানিস্তানের দেওয়া ২১৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঠান্ডা মাথার ইনিংস খেলার দিকে খুব বেশি মনোযোগ দেননি তারা। এমনকি তাদের অভিজ্ঞতারও কোনো ছাপ দেখা যায়নি।

যখন উইকেট পড়া শুরু করল তখন দ্রুতই একজনের পর আরেকজন বিদায় নিতে থাকলেন।

ওয়ানডে ক্রিকেট কিভাবে খেলতে হয় তা যেন আরেকবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন আফিফ ও মিরাজ। কিন্তু তারা পারলেও সাকিব-তামিমরা কেন আজ পারলেন না তা অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচন নিয়ে দিনক্ষণ তো এখন বলা যাবে না-প্রধান নির্বাচন কমিশনার

মেহেদি আফিফ নৈপূর্ণে বাংলাদেশের বিশ্ব রেকড

আপডেট: ১১:২২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

অনলাইন ডেস্ক:

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বুধবার বাংলাদেশকে দুর্দান্ত জয় এনে দেওয়ার পর প্রশংসায় ভাসছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন।

২১৬ রানের জবাবে ৪৫ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের হার তখন প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু সেই নিশ্চিত হার থেকে টাইগারদের বিজয়ী করে তবেই মাঠ ছেড়েছেন মিরাজ-আফিফ। তারা গড়েছেন রেকর্ড ১৭৪ রানের জুটি।

৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর যেখানে তাদের মনোবল ভেঙে যাওয়ার কথা সেখানে আাফিফ ও মিরাজ দুজনই খেলেন ঠান্ডা মাথার ইনিংস। এর পুরস্কার তারা পেয়েছেন হাতেনাতে। দুইজনই অপরাজিত থেকে দলকে এনে দিয়েছেন স্মরণীয় জয়।

মিরাজ ও আফিফের এমন দায়িত্বশীল ব্যাটিং যেমন ভক্তদের মন জুড়িয়েছে, তেমনই বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে জয়।

কিন্তু বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতে দেখা যায় উল্টো চিত্র। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মিশেলে তৈরি টপ অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ।

আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের টপ অর্ডার সাজানো হয়েছে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞদের নিয়ে।

এ চারজন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়। তাদের বাংলাদেশের হয়ে খেলার ম্যাচসংখ্যা ৮৬৫!

কিন্তু আফগানিস্তানের দেওয়া ২১৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঠান্ডা মাথার ইনিংস খেলার দিকে খুব বেশি মনোযোগ দেননি তারা। এমনকি তাদের অভিজ্ঞতারও কোনো ছাপ দেখা যায়নি।

যখন উইকেট পড়া শুরু করল তখন দ্রুতই একজনের পর আরেকজন বিদায় নিতে থাকলেন।

ওয়ানডে ক্রিকেট কিভাবে খেলতে হয় তা যেন আরেকবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন আফিফ ও মিরাজ। কিন্তু তারা পারলেও সাকিব-তামিমরা কেন আজ পারলেন না তা অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকবে।