স্টাফ রিপোর্টার॥
হাজীগঞ্জে শুরু হয়েছে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা। মেলার মাধ্যমে খামারিরা ভবিষ্যতে এই খাতে আরও উদ্বুদ্ধ হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলায় নিয়ে আসা হয়েছে উন্নত প্রজাতির গরু, ছাগল, ভেড়া, ঘোড়া, ময়না পাখি, টিয়া, কবুতরসহ বিভিন্ন ধরনের পশু-পাখি। মেলা দেখতে সকাল থেকে সাধারণ মানুষ ভিড় করতে শুরু করে।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলা চত্বরে এ মেলা শুরু হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলায় হাজীগঞ্জের খামারিরা তাদের পোষা উন্নতজাতের গরু , ছাগল, ঘোড়া, ভেড়া, পাখি, ময়না, কবুতরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি নিয়ে আসেন স্টলে।
এ মেলা চলবে দিনব্যাপী। মেলায় ৪৭টি স্টল রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি। ৪০ জন খামারি অংশগ্রহণ করছেন মেলায়।
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসবে বক্তব্য রাখেন (চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এ প্রদর্শণীর মুল লক্ষ হচ্ছে, জনগণকে প্রাণী সম্পদের গুরুত্ব প্রসঙ্গে অবহিত করা এবং প্রাণী সম্পদকে আমরা যত্ন নিলে আমরা অনেক উন্নতি করতে পারি সেই প্রসঙ্গে জ্ঞান প্রদান করেন। খামারিদের বিজ্ঞান ভিত্তিক লালন-পালন কৌশল প্রশিক্ষণ দিয়ে বিজ্ঞান ভিত্তিক খামার গড়ে তোলা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে খাদ্য নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধ বিগ্রহ, প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেকোন সমস্যায় হউকনা কেনো, মানুষকে সবার আগে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তা করতে হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্য নিরাপত্তায় আমরা অনেক খানি এগিয়েছি।
তিনি বলেন, আজকে প্রাণী সম্পদের যে উৎপাদন বৃদ্ধি হয়েছে, দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার সৃষ্টি হয়েছে, ক্ষুদ্র খামারী উদ্যেক্তাগণ প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলায় সক্ষম হয়েছে। এই সব ক্ষমতার সৃষ্টির পেছনে রয়েছে এ সরকারের বিজ্ঞান ভিত্তিক চিন্তা-চেতনা এবং লালন পালন কৌশল লব্ধ করে সেটা জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া।
আমাদের দেশে মোট কর্মশক্তির ৪ ভাগের ১ ভাগ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি পালনের সাথে জড়িত। এ প্রাণীজ আমিষের শতকরা ৪৪ ভাগ জোগান দিচ্ছে প্রাণীসম্পদ। সম্ভাবনাময় এ খাতের ক্ষেত্র ও সম্পদকে কাজিয়ে লাগিয়ে প্রাণী সম্পদের উন্নয়ণকে আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। সেই জন্য অবশ্যই আমরা সফলতার মুখ দেখছি। অতিতে প্রাণীসম্পদের অনেক ঘাটতি ছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই ঘাটতি কাটিয়ে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা শিউলি পারভীন মিলি, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মর্তা মো. গোলাম মোস্তফা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুলফিকার আলী। এর পূর্বে দুপরে মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. মাইনুদ্দীন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. সাদেকুজ্জামান রাকিবের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে খামারিদের পে ডেইরি এসোসিয়েশন থেকে রিয়াদ হাসান, পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের পে নাছিরউদ্দিন মজুমদার প্রমুখ। শুরুতেই পবিত্র কোরআন মাজিদ থেকে তেলওয়াত করেন, মো. সালেহ আহমেদ ও গীতা পাঠ করেন তপন চন্দ্র পাল।