মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৬ লাখ ৪৯ হাজার ৪২৪ জন।
দৈনিক আক্রান্তের হিসাবে একদিনে এটিই সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৬ জন শনাক্ত হয়েছিল।
শনিবার সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্যে এসব জানা গেছে।
এ সময়ের মধ্যে বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৯ হাজার ৫৫ জনে। একই সময়ে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬ লাখ ৬২ হাজার ৩৬১ জন।
এ নিয়ে মহামারি শুরুর পর বিশ্বে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ লাখ ৩ হাজার ৬৬ জনে। আর সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়ালো ৩৪ কোটি ৬৮ লাখ ৩ হাজার ৭ জনে। এছাড়া সেরে উঠেছেন ২৭ কোটি ৬৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬২১ জন।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ২ হাজার ৭৭৭ জন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ কোটি ১৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৭৯ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৩ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৪১ লাখ ৯১ হাজার ৫১২ জন।
দৈনিক সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ লাখ ৮৫১ জন এবং মারা গেছেন ২৩৩ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৭ জনের মৃত্যু ও ১ কোটি ৬০ লাখ ১ হাজার ৪৯৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১ কোটি ৬৩ হাজার ৮১২ জন।
বৈশ্বিক সংক্রমণে সারাবিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৪৫৮ জন এবং মারা গেছেন ৪৮৯ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯১১ জনের মৃত্যু এবং ৩ কোটি ৮৯ লাখ ১ হাজার ৪৮৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। সেরে উঠেছেন ৩ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার ৭০৯ জন।
সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃতের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৯৬ জন।
যুক্তরাজ্যে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৭৮৭ জন। মারা গেছেন ২৮৮ জন।
রাশিয়ায় একদিনে মারা গেছেন ৬৯২ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৫২ জনে।
এছাড়া সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে ৩৭৩ জন, মেক্সিকোতে ২৭৮ জন, পোল্যান্ডে ২৪৮ জন, কানাডায় ১৪৯ জন, কলম্বিয়ায় ১৯৭ জন, আর্জেন্টিনায় ১৬০ জন, জার্মানিতে ১৭৫ জন, তুরস্কে ১৮১ জন, স্পেনে ১৪২ জন, ভিয়েতনামে ১৭৭ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১০৩ জন, ইউক্রেনে ১৫০ জন, ফিলিপাইনে ১৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।