চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। তবে আগুন লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে লঞ্চের কর্মীরা। এতে প্রায় ৫ শতাধিক যাত্রী ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো। লঞ্চে আগুন লাগার খবর পেয়ে নৌ-ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মতলব উত্তরের মোহনপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বরিশালের রানীখ্যাত এমভি সুরভী-৯ নামের লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরিশাল যাচ্ছিল। রাত ১২টার দিকে মোহনপুর এলাকা অতিক্রমকালে লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে আগুন ধরে যায়। এ সময় লঞ্চে থাকা সহস্রাধীক যাত্রীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। লঞ্চের স্টাফদের প্রচেষ্টায় অল্প সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফলে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানী বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বিআইডব্লিউটিএ’র চাঁদপুরস্থ বন্দর কর্মকর্তা মো. কায়সারুল ইসলাম জানান, লঞ্চের ইঞ্জিনে আগুন ধরার পর কিছু সময়ের মধ্যে তা নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হয় স্টাফরা। ফলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে লঞ্চটি। বর্তমানে লঞ্চটি মোহনপুর এলাকায় নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।
এ কর্মকর্তা আরো জানান, লঞ্চের ইঞ্জিন ঠিক থাকায় শেষ রাতে লঞ্চটি বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
বন্দর কর্মকর্তা আরো জানান, যাত্রাপথে ইঞ্জিনের সাইলেন্সার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে কোনো যাত্রী জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দেয়। লঞ্চটিতে পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিল। তবে যাত্রীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এর আগে গত ২৩শে ডিসেম্বর রাতে ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে অভিযান-১০ নামের একটি লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এতে আগুনে পুড়ে ও পানিতে ডুবে প্রায় অর্ধশত যাত্রী প্রাণ হারান।