আশরাফুল-নান্নু কাণ্ডে অসন্তুষ্ট বিসিবি

  • আপডেট: ০১:০৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২
  • ৩৯

এক সময় দুজনেই খেলেছেন একসঙ্গে। দুজনই আবার বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সময়ের সেরা খেলোয়াড়ও তারা। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের নির্বাচকদের। মোহাম্মদ আশরাফুল এখনও খেলছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে।

তবে হঠাৎ সামনে এসেছেন বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে। সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে আশরাফুলের করা একটি মন্তব্যের জের ধরেই বেশ কিছু মন্তব্য করে বসেন নান্নু।

আশরাফুল বলেছিলেন, “নির্বাচক প্যানেলের সদস্যদের মেয়াদ ৩ থেকে ৪ বছর হলে ভালো হয়। কারণ দীর্ঘমেয়াদি নির্বাচক প্যানেল দিয়ে ক্রিকেটে সুফল ফেরানো সম্ভব নয়।”

জবাবে নান্নু আশরাফুলকে দেশদ্রোহী ও ফিক্সার উল্লেখ করে বলেন, “যেসব খেলোয়াড় দেশদ্রোহী হয়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়, ওদের কাছ থেকে ভালো পরামর্শ আশা করা কঠিন।”

প্রধান নির্বাচকের এমন মন্তব্যে পালটা জবাবে আশরাফুল বলেন, “নান্নু ভাই যেভাবে নাম ধরে দেশদ্রোহী, ম্যাচ ফিক্সার বললেন, এটা তো ২০১৩ সালে হয়েছে। আমি সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছি, শাস্তিও হয়েছে। যেভাবে আক্রমণ করলেন, কষ্ট লেগেছে। আমি তো উল্টাপাল্টা কিছু বলিনি। আর আমি কোনো ব্যক্তির নাম বলিনি, আমি ওই দায়িত্বের কথা বলেছি। নান্নু ভাই লাইভে সরাসরি আক্রমণ করলেন আমার নাম ধরে। এটা আসলে খুব দুঃখজনক।”

দুজনের এমন পাল্টাপাল্টি বক্তব্য কানে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তাদেরও। এ নিয়ে বোর্ডে কথা হয়েছে বলে জানান, ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

সোমবার গণমাধ্যমে জালাল ইউনুস বলেন, “সে (আশরাফুল) একজন বর্তমান খেলোয়াড়, আবার সাবেক অধিনায়কও অবশ্যই। যেহেতু সে এখনও আমাদের অধীনে খেলছে সেহেতু এভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা ঠিক হয়নি। আমি শুনেছি এটা… যেটা হয়েছে, এটা নিয়ে আমাদের আলাপও হয়েছে। দেখা যাক, এটা নিয়ে আমরা বোর্ড সভাপতির সাথে আলাপ করবো।”

নান্নুর বক্তব্য নিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, “কারও ব্যাপারেই এভাবে আক্রমণ… আপনি একটা অবস্থানে আছেন বোর্ডের। ঐ জায়গা থেকে এটা না করাটাই ভালো হতো। যেহেতু নির্বাচক প্যানেল আমাদের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের আওতায়, আমরা এটা নিয়ে আজকেও আলাপ করেছি। এখন বোর্ড সভাপতির সাথেও কথা বলব।”

নির্বাচক ও আশরাফুলের এমন কাণ্ড ভবিষ্যৎ দল নির্বাচনে আশরাফুলকে বিবেচনা নাও করা হতে পারে এমন প্রশ্নও উঠেছে। এমন প্রশ্নে জালাল ইউনুস বলেন, “আমার মনে হয় না এমন কিছু হবে। আমার মনে হয় না ব্যক্তিগতভাবে কেউ এর শিকার হবে। যারা আসবে পারফরম্যান্সের জোরেই দলে আসবে।”

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

আশরাফুল-নান্নু কাণ্ডে অসন্তুষ্ট বিসিবি

আপডেট: ০১:০৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২

এক সময় দুজনেই খেলেছেন একসঙ্গে। দুজনই আবার বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সময়ের সেরা খেলোয়াড়ও তারা। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের নির্বাচকদের। মোহাম্মদ আশরাফুল এখনও খেলছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে।

তবে হঠাৎ সামনে এসেছেন বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে। সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে আশরাফুলের করা একটি মন্তব্যের জের ধরেই বেশ কিছু মন্তব্য করে বসেন নান্নু।

আশরাফুল বলেছিলেন, “নির্বাচক প্যানেলের সদস্যদের মেয়াদ ৩ থেকে ৪ বছর হলে ভালো হয়। কারণ দীর্ঘমেয়াদি নির্বাচক প্যানেল দিয়ে ক্রিকেটে সুফল ফেরানো সম্ভব নয়।”

জবাবে নান্নু আশরাফুলকে দেশদ্রোহী ও ফিক্সার উল্লেখ করে বলেন, “যেসব খেলোয়াড় দেশদ্রোহী হয়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়, ওদের কাছ থেকে ভালো পরামর্শ আশা করা কঠিন।”

প্রধান নির্বাচকের এমন মন্তব্যে পালটা জবাবে আশরাফুল বলেন, “নান্নু ভাই যেভাবে নাম ধরে দেশদ্রোহী, ম্যাচ ফিক্সার বললেন, এটা তো ২০১৩ সালে হয়েছে। আমি সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছি, শাস্তিও হয়েছে। যেভাবে আক্রমণ করলেন, কষ্ট লেগেছে। আমি তো উল্টাপাল্টা কিছু বলিনি। আর আমি কোনো ব্যক্তির নাম বলিনি, আমি ওই দায়িত্বের কথা বলেছি। নান্নু ভাই লাইভে সরাসরি আক্রমণ করলেন আমার নাম ধরে। এটা আসলে খুব দুঃখজনক।”

দুজনের এমন পাল্টাপাল্টি বক্তব্য কানে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তাদেরও। এ নিয়ে বোর্ডে কথা হয়েছে বলে জানান, ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

সোমবার গণমাধ্যমে জালাল ইউনুস বলেন, “সে (আশরাফুল) একজন বর্তমান খেলোয়াড়, আবার সাবেক অধিনায়কও অবশ্যই। যেহেতু সে এখনও আমাদের অধীনে খেলছে সেহেতু এভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা ঠিক হয়নি। আমি শুনেছি এটা… যেটা হয়েছে, এটা নিয়ে আমাদের আলাপও হয়েছে। দেখা যাক, এটা নিয়ে আমরা বোর্ড সভাপতির সাথে আলাপ করবো।”

নান্নুর বক্তব্য নিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, “কারও ব্যাপারেই এভাবে আক্রমণ… আপনি একটা অবস্থানে আছেন বোর্ডের। ঐ জায়গা থেকে এটা না করাটাই ভালো হতো। যেহেতু নির্বাচক প্যানেল আমাদের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের আওতায়, আমরা এটা নিয়ে আজকেও আলাপ করেছি। এখন বোর্ড সভাপতির সাথেও কথা বলব।”

নির্বাচক ও আশরাফুলের এমন কাণ্ড ভবিষ্যৎ দল নির্বাচনে আশরাফুলকে বিবেচনা নাও করা হতে পারে এমন প্রশ্নও উঠেছে। এমন প্রশ্নে জালাল ইউনুস বলেন, “আমার মনে হয় না এমন কিছু হবে। আমার মনে হয় না ব্যক্তিগতভাবে কেউ এর শিকার হবে। যারা আসবে পারফরম্যান্সের জোরেই দলে আসবে।”