নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ শিরোপার কমতি নেই অস্ট্রেলিয়ার। এখন পর্যন্ত হওয়া ১২ আসরের মধ্যে পাঁচবারই সেরা মুকুট উঠেছে অসিদের মাথায়। কিন্তু কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে ছয় আসর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অস্ট্রেলিয়ার ট্রফি ক্যাবিনেট ছিল পুরোপুরি শূন্য।
অবশেষে সপ্তম আসরে এসে অধরা শিরোপার দেখা পেল বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল জিততে তাদের গড়তে হতো ইতিহাস। নতুন রেকর্ড গড়েই শিরোপা ঘরে তুলেছে অ্যারন ফিঞ্চের দল। ফাইনালে অসিদের সামনে পাত্তাই পায়নি নিউজিল্যান্ড। ফাইনাল শুরুর ৩০ মিনিট আগেই দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সে ফিসফাঁস- জিতে গেল অস্ট্রেলিয়া। না, ফিক্সিংয়ের গন্ধ নেই। টস জেতার সঙ্গেই অ্যারন ফিঞ্চের হাতে ট্রফি দেখতে পাচ্ছিলেন অনেকে। নিকট অতীতে চোখ রেখেই ম্যাচ শুরুর আগেই অনেকে হারিয়ে দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডকে। ঠিক তাই হলো ফাইনালের মঞ্চে। নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি জিতল অজিরা! দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৭২ রান। যা ছিল বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। শিরোপা জেতার পথে নতুন রেকর্ড গড়ে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৮.৫ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অসিদের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে ব্যাট হাতে বড় অবদান রেখেছেন তিন নম্বরে নামা ডানহাতি ব্যাটার মিচেল মার্শ। তার ব্যাট থেকে আসে ৫০ বলে ৭৭ রান। বাঁহাতি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার খেলেছেন ৩৭ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন জশ হ্যাজলউড। অবশ্য ট্রান্স-তাসমান ফাইনাল ঠিক হওয়ার পরই নিশ্চিত ছিল এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্ব। দুই প্রতিবেশীর লড়াইটা ঠিক ঠাক জমলো কোথায়? কিউইদের চ্যালেঞ্জকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো ২০ ওভারের বিশ্বকাপের ট্রফিটা নিজেদের করে নিল অজিরা! জবাব দিতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভাল ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। দলীয় ১৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ (৫)। কিন্তু এরপরই দুবাইয়ের উইকেটটা চিনে নিয়ে দেখে-শুনে খেলতে থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে অজিদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৪৩ রান। ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন সেমি-ফাইনাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৯ করে ফেরা ওয়ার্নার। অন্যপ্রান্তে তাকে বেশ সঙ্গ দেন মার্শ। তবে হাফসেঞ্চুরি করেই ভুল করে বসেন ওয়ার্নার। ট্রেন্ট বোল্টের পেসের সামনে লাইন মিস করায় উড়ে যায় স্ট্যাম্প! ব্যস, ৩৮ বলে ৫৩ করে ফিরে যান ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়া তখন ১২.২ ওভারে ২ উইকেটে ১০৭। মার্শ তখন অন্য প্রান্তে অপ্রতিরোধ্য। ৩১ বলে তুলে নেন ফিফটি। অফ ফর্ম কাটিয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও লড়লেন। দলকে বিশ্বকাপ এনে দিয়ে মার্শ অপরাজিত ৫৫ বলে ৭৭। ম্যাক্সওয়েল ১৮ বলে অপরাজিত ২৮। দুবাইয়ে শিশির ঝরা রাতে পরে বল করাটা যে কতো যন্ত্রণার বুঝলেন টিম সাউদি-অ্যাডাম মিলনেরা। বল গ্রিপ করাটাও কষ্ট হচ্ছিল। অবশ্য এটাও ঠিক ব্যাটিং উইকেটে আরেকটু বড় হতে পারতো নিউজিল্যান্ডের ইনিংস! ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩২ বলে ফিফটি করে বিশ্বকাপ ফাইনালে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছিলেন কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। রান তাড়া করতে নেমে ৩১ বলে ফিফটি করে সেই রেকর্ড নিজের করে নেন মিচেল মার্শ। তার ৭৭ রানের ইনিংসের সুবাদেই মূলত সাত বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের ইনিংসের ১৯তম ওভারের পঞ্চম বল রিভার্স স্কুপে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৮ বলে ২৮ রান করে। অথচ শুরুতেই অধিনায়কের বিদায়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের করা ১৭২ রানের সংগ্রহটি তখন মনে হচ্ছিল বেশ কঠিন। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দারুণভাবে অসিদের ম্যাচে রাখেন আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও তিন নম্বরে নামা মিচেল মার্শ। ১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে বোল্টের বিপক্ষে কোনো জবাবই খুঁজে পাননি ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। প্রথম ওভারে আসে মাত্র ১ রান। টিম সাউদির করা দ্বিতীয় ওভারে দুই চারের মারে ১০ রান তুলে নেন ওয়ার্নার। তার দেখাদেখি বোল্টের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মারেন ফিঞ্চ। কিন্তু পরের বলেই তার বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেন বোল্ট। ডিপ মিড উইকেটে বেশ খানিকটা পথ দৌড়ে দারুণ এক ডাইভিং ক্যাচ ধরেন মিচেল। শুরুতেই অধিনায়ক ফিরে গেলে খানিক খোলসবন্দী হয়ে পড়েন ওয়ার্নার। তবে অপরপ্রান্তে তাকে চাপমুক্ত রাখেন মিচেল মার্শ। অ্যাডাম মিলনের করা চতুর্থ ওভারের প্রথম তিন বলেই দুইটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান মার্শ। প্রথম পাওয়ার প্লে’তে অস্ট্রেলিয়া করে ৪৩ রান। এরপর হাত খুলে খেলতে শুরু করেন ওয়ার্নারও। বিশেষ করে ইশ সোধির করা নবম ওভারে হাঁকান দুই চার ও একটি বিশাল ছক্কা। যার সুবাদে প্রথম ছয় ওভারে ৪৩ রান করা অস্ট্রেলিয়া পরের চার ওভারেই পেয়ে যায় আরও ৩৯ রান। জুটি দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর আর পেছন ফিরে তাকাননি ওয়ার্নার ও মার্শ। দুজন মিলে তাণ্ডব চালাতে থাকেন কিউই বোলারদের ওপর। উইকেটের আশায় ১১তম ওভারে জিমি নিশামকে আনেন কিউই অধিনায়ক। সেই ওভারে একটি করে ছক্কা হাঁকান ওয়ার্নার ও মার্শ। নিশামকে হাঁকানো ছক্কায় ব্যক্তিগত ফিফটি পূরণ হয় ওয়ার্নারের। প্রথম ১৮ বলে মাত্র ১৮ রান করা ওয়ার্নার ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন ৩৪ বলে। অর্থাৎ পরের ১৬ বল থেকে তিনি করেন ৩৩ রান। মিচেল স্যান্টনারের করা পরের ওভারে পূরণ হয় অস্ট্রেলিয়ার দলীয় শতক। তবে ওয়ার্নারকে বেশি দূর যেতে দেননি বোল্ট। ইনিংসের ১৩তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসে দ্বিতীয় বলেই বোল্ড করে দেন ওয়ার্নারকে। আউট হওয়ার আগে চার চার ও তিন ছয়ের মারে ৩৭ বলে ৫৩ রান করেন ওয়ার্নার। তার বিদায়ে ভাঙে ৯২ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। তাতেও অবশ্য কোনো সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। কেননা তৃতীয় উইকেট জুটিতেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালু রাখেন মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ইনিংসের ১৩ থেকে ১৭ ওভারের মধ্যে ৫০ রান নেন এ দুজন। যা অস্ট্রেলিয়ার জয় একপ্রকার নিশ্চিতই করে দেয়। তবে ১৮তম ওভারে মিলনে দারুণ বোলিং করেন। যার বলে বাড়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের অপেক্ষা। পরে সাউদির করা ১৯তম ওভারের প্রথম ও পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেয় তারা। ম্যাক্সওয়েলের রিভার্স স্কুপে ফুরোয় দীর্ঘদিনের শিরোপার অপেক্ষা। এর আগে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ব্যাটিংয়ে নেমে মিচেল স্টার্কের করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইতিবাচক শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কিউই ওপেনার গাপটিল। কিন্তু পাওয়ার প্লে’তে সে তুলনায় রান তুলতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারের মতো দ্বিতীয় ওভারেও আসে একটি বাউন্ডারি। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ইনিংসের প্রথম ছক্কা হাঁকান সেমিফাইনালে কিউইদের জয়ের নায়ক মিচেল। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের করা সেই ওভারেই জীবন পান গাপটিল। তৃতীয় বলে তার ব্যাটের নিচের কানায় লেগেছিল বল। কিন্তু সেটি গ্লাভসে রাখতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েড। ফলে ব্যক্তিগত ১০ রানে জীবন পেয়ে যান গাপটিল। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলটি লেগ কাটার করেছিলেন জশ হ্যাজলউড। বলের গতি ব্যবহার করে লেট কাটের মতো খেলেন মিচেল। কিন্তু তার ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় ওয়েডের গ্লাভসে। ফলে সমাপ্তি ঘটে ৮ বলে ১১ রানের ইনিংসের। মিচেলের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। দুবাইয়ে শিশির ঝরা রাতে পরে বল করাটা যে কতো যন্ত্রণার বুঝলেন টিম সাউদি-অ্যাডাম মিলনেরা। বল গ্রিপ করাটাও কষ্ট হচ্ছিল। অবশ্য এটাও ঠিক ব্যাটিং উইকেটে আরেকটু বড় হতে পারতো নিউজিল্যান্ডের ইনিংস! তবে কেন উইলিয়ামস দেখালেন জীবন পেয়ে সেটি কিভাবে কাজে লাগাতে হয়! কেন উইলিয়ামসন বুঝিয়ে দিলেন তার ক্যাচ ফেলে দেওয়ার মাশুল এভাবেই দিতে হয়। ৪৮ বলে ৮৫ রান করেই থামলেন কিউই অধিনায়ক। অথচ ব্যক্তিগত ২১ রানেই ফিরতে পারতেন তিনি। মিচেল স্টার্কের ডেলিভারিটি ঠিকঠাক খেলতে পারেন নি উইলিয়ামসন। বল উড়ে এসে পড়ে জশ হেইজেলউডের হাতে! কিন্তু বল তো হাতে জমাতেই পারেন নি উল্টো বাউন্ডারি লাইন পেরিয়ে যায়। তারপর উইলিয়ামসন সেই ২১ থেকে নিজেকে নিয়ে যান ৮৫ রানে। প্রাণ পেয়েই টানা দুটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। স্টার্কের ওভার কিউইরা নেয় ১৯ রান। মূলত উইলিয়ামসনের ব্যাটেই মাথা তুলে দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ড। উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন তিনি। সবচেয়ে নির্দয় ছিলেন স্টার্কের সঙ্গে। এই অজি পেসার ৩ ওভারে দিলেন ৫০ রান! গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও উড়িয়ে খেলেন উইলিয়ামসন। তাকে টানা দুটি বিশাল ছক্কায় ফিফটি করেন তুলে নেন মাত্র ৩২ বলে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাতটি ফাইনালে তখন অব্দি দ্রুততম ফিফটি ছিল এটিই। জো রুট ও কুমার সাঙ্গাকারার ৩৩ বলের ফিফটির রেকর্ড পেছনে ফেলেন উইলিয়ামসন। ‘ছিল’ বলার কারণ, পরে যে মার্শ ৩১ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ছাড়িয়ে গেছেন সেটা! তবে ‘তখন অব্দি’ বিশ্বকাপ ফাইনালের দ্রুততম ফিফটি ছুঁয়েই থামেননি উইলিয়ামসন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড ছুঁয়ে তবেই থামেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। পরিস্থিতি বুঝে শেষটায় এসে ঝড় তুলেন তিনি। তবে শতরান করা হলো না। হেইজেলউডের বলে লং অফে ক্যাচ তুলে দেন স্টিভেন স্মিথের হাতে। ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ইনিংস থামে ৮৫ রানে। এটিই বিশ্বকাপের ফাইনালে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। গত বিশ্বকাপ ফাইনালে উইন্ডিজ ব্যাটার মারলন স্যামুয়েলসও তুলেছিলেন ৮৫ রান। উইলিয়ামসন ছাড়া অন্য কিউই ব্যাটসম্যানদের তেমন আক্রমণাত্মক হতে দেয়নি অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। দুবাইয়ের ব্যাটিং উইকেটের ফায়দাটাও তেমন নেওয়া হয়নি। ওপেনার মার্টিন গাপটিল ৩৫ বলে ২৮ রান করতেই থামান অ্যাডাম জ্যাম্পা। গ্লেন ফিলিপস ১৭ বলে ১৮। জিমি নিশামও শেষ দিকে ৭ বলে ১৩ রান তুললে কিছুটা স্বস্তি পায় কিউইরা। সংক্ষিপ্ত স্কোর-
নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭২/৪ (গাপটিল ২৮, মিচেল ১১, উইলিয়ামসন ৮৫, ফিলিপস ১৮, নিশাম ১৩*, সাইফার্ট ৮*; হেজেলউড ৩/১৬, জ্যাম্পা ১/২৬)।
অস্ট্রেলিয়া: ১৮.৫ ওভারে ১৭৩/২ (ওয়ার্নার ৫৮, ফিঞ্চ ৫, মার্শ ৭৭*, ম্যাক্সওয়েল ২৮*; বোল্ট ২/১৮)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী
ফাইনালসেরা: মিচেল মার্শ
টুর্নামেন্ট সেরা: ডেভিড ওয়ার্নার।