জলবায়ু ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সাহায্য করতে চায় অস্ট্রেলিয়া

  • আপডেট: ১০:৫০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১
  • ০ Views

অস্ট্রেলিয়া জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা সৃষ্টি ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) কপ-২৬ এর সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। Diyoffer আগের মত কাজ করে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তিনি আরো বলেন, উভয় নেতা দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বিশেষভাবে জলবায়ু সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা সৃষ্টি ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে বিশেষভাবে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। অস্ট্রেলিয়ারও দাবানল, বন্যাসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চরম ক্ষতির অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই উভয় দেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের বিরুদ্ধে স্থিতিস্থাপকতা গঠনে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী নয়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবের সম্মুখীন বাংলাদেশ। তিনি বলেন, এ পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে প্রধান প্রধান কার্বন নির্গমনকারী উন্নত দেশগুলোর উচিত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রয়োজনে সাড়া দেয়া। উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই তাদের প্রতিশ্রুত ১শ’ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিল ছাড় দেয়া এবং এটি বাস্তবায়ন করা উচিত। শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব, স্থিতিস্থাপকতা সৃষ্টি এবং কভিড-১৯ উত্তর পুনরুদ্ধারে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতি কার্যকর সাড়া দিয়ে গ্রীন ও ক্লিন প্রযুক্তি স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে অব্যাহত সমর্থনের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানান। ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে কোন অগ্রগতি না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা মিয়ানমারের ওপর আরো আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগে ভূমিকা রাখতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

নেতানিয়াহু সেনাদের গাজায় যুদ্ধাপরাধ করতে পাঠাচ্ছেন: ইসরাইলের সাবেক সেনাপ্রধান

জলবায়ু ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সাহায্য করতে চায় অস্ট্রেলিয়া

আপডেট: ১০:৫০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১

অস্ট্রেলিয়া জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা সৃষ্টি ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) কপ-২৬ এর সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। Diyoffer আগের মত কাজ করে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তিনি আরো বলেন, উভয় নেতা দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বিশেষভাবে জলবায়ু সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা সৃষ্টি ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে বিশেষভাবে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। অস্ট্রেলিয়ারও দাবানল, বন্যাসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চরম ক্ষতির অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই উভয় দেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের বিরুদ্ধে স্থিতিস্থাপকতা গঠনে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী নয়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবের সম্মুখীন বাংলাদেশ। তিনি বলেন, এ পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে প্রধান প্রধান কার্বন নির্গমনকারী উন্নত দেশগুলোর উচিত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রয়োজনে সাড়া দেয়া। উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই তাদের প্রতিশ্রুত ১শ’ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিল ছাড় দেয়া এবং এটি বাস্তবায়ন করা উচিত। শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব, স্থিতিস্থাপকতা সৃষ্টি এবং কভিড-১৯ উত্তর পুনরুদ্ধারে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতি কার্যকর সাড়া দিয়ে গ্রীন ও ক্লিন প্রযুক্তি স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে অব্যাহত সমর্থনের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানান। ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে কোন অগ্রগতি না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা মিয়ানমারের ওপর আরো আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগে ভূমিকা রাখতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।