সেই ইকবাল কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার

  • আপডেট: ১০:৫৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১
  • ৩৬

অনলাইন ডেস্ক:

সহিংস পরিস্থিতি তৈরির লক্ষ্যে কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখা ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ইকবালের বাড়ি কুমিল্লা নগরের সুজানগর এলাকায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার ভিত্তিতে ইকবাল হোসেনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন কুমিল্লা জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীর দিন গত বুধবার ভোরে কুমিল্লা শহরের নানুয়াদিঘির উত্তরপাড়ে দর্পণ সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত অস্থায়ী পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন পেয়ে অবমাননার অভিযোগ তুলে হামলা করে ভাঙচুর চালায় একদল লোক।

এ ঘটনার জের ধরে ওই দিন (১৩ অক্টোবর) রাত ৮টার পর হাজীগঞ্জ বাজার মন্দিরে হামলা করে একদল দুর্বৃত্ত। ওই ঘটনায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করলে হামলাকারীদের সঙ্গে সংর্ঘষ হয়। এতে চারজন এবং পরে আরো একজন মিলে মোট পাঁচজন নিহত হন।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২টি ও ৮ মন্দিরের প্রধানগণ আরো ৮টি মোট ১০টি মামলা করে। এসব মামলায় অজ্ঞাত প্রায় ৫ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এরমধ্যে জামায়াত নেতা কামালউদ্দিন আব্বাসীসহ ২৯জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এরপর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধান করে ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার কথা জানিয়েছিল পুলিশ। তাদের সবাইকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই নেপথ্যে থাকা ‘মাস্টারমাইন্ড’দের শনাক্ত করা যাবে এমনটাই বিশ্বাস পুলিশের।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে সিমস্ প্রকল্প বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

সেই ইকবাল কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার

আপডেট: ১০:৫৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১

অনলাইন ডেস্ক:

সহিংস পরিস্থিতি তৈরির লক্ষ্যে কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখা ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ইকবালের বাড়ি কুমিল্লা নগরের সুজানগর এলাকায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার ভিত্তিতে ইকবাল হোসেনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন কুমিল্লা জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীর দিন গত বুধবার ভোরে কুমিল্লা শহরের নানুয়াদিঘির উত্তরপাড়ে দর্পণ সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত অস্থায়ী পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন পেয়ে অবমাননার অভিযোগ তুলে হামলা করে ভাঙচুর চালায় একদল লোক।

এ ঘটনার জের ধরে ওই দিন (১৩ অক্টোবর) রাত ৮টার পর হাজীগঞ্জ বাজার মন্দিরে হামলা করে একদল দুর্বৃত্ত। ওই ঘটনায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করলে হামলাকারীদের সঙ্গে সংর্ঘষ হয়। এতে চারজন এবং পরে আরো একজন মিলে মোট পাঁচজন নিহত হন।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২টি ও ৮ মন্দিরের প্রধানগণ আরো ৮টি মোট ১০টি মামলা করে। এসব মামলায় অজ্ঞাত প্রায় ৫ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এরমধ্যে জামায়াত নেতা কামালউদ্দিন আব্বাসীসহ ২৯জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এরপর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধান করে ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার কথা জানিয়েছিল পুলিশ। তাদের সবাইকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই নেপথ্যে থাকা ‘মাস্টারমাইন্ড’দের শনাক্ত করা যাবে এমনটাই বিশ্বাস পুলিশের।