নিজস্ব প্রতিনিধি:
গত বুধবার (১৩ অক্টোবর) কুমিল্লায় একটি মন্দিরে কোরআন অবমনার ঘটনায় হাজীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল, মন্দিরে হামলা, ভাংচুর ও গুলির ঘটনায় ৪জন নিহত ও অপ্রীতিকর ঘটনায় তদন্তে গঠিত পুলিশের তদন্ত কমিটির প্রধান চট্রগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইআজি মো. ইকবাল হোসেন পিপিএম (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) হাজীগঞ্জ বিজনেস পার্কের নির্মাণ শ্রমিক চাপাইনববাগঞ্জের আলমডাঙ্গার বাবুল নিহতের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ঘটনাস্থলের আশে-পাশে ঘুরে দেখেন ও প্রত্যক্ষ্যদর্শী শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন। পরে পুলিেিশর ডিডেকটিভ ব্র্যাঞ্চ ঘটনাস্থল থেকে বুলেটের খোসা উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
গত ১৩ অক্টোবর রাতে পুলিশের ফাঁকা গুলির ঘটনায় বিজনেস পার্কের ৮ তলায় থাকা নির্মাণ শ্রমিক বাবলু গুলিবিদ্ধ হন। এতো উপরে গিয়ে বিজনেস পার্কের পশ্চিম পাশের্^র খোলা জানালা দিয়ে তার গায়ে গুলি লাগে। এতে ঘটনাস্থল রক্তে রঞ্জিত হয়। পরে অন্যান্য নির্মাণ শ্রমিকরা বাবলুকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। বাবলুর মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়।
নিহত অন্য ৩জন হলো-হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ১১নং ওয়ার্ড রান্ধুনী মুড়ার শুকু কমিশনার বাড়ীর তাজুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (১৮) ও একই ওয়ার্ডের সেকান্দর বেপারী বাড়ীর মো. ফজলুর ছেলে হৃদয় (১৪), রান্ধুনীমুড়া গ্রামের শামীম (১৯)। এদের তিনজনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।