কচুয়া প্রতিনিধি॥
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের চাঙ্গিনী গ্রামে এক মৎস্য চাষির পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগ করে দেশীয় প্রজাতির প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাতে উপজেলার চাঙ্গিনী গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মিজানুর রহমানের বর্গা মৎস্য চাষ পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুকুরের মালিক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মিজানুর রহমানের বাবা আবু তাহের জানান, শনিবার রাতে কে বা কাহারা আমার ছেলে মিজানুর রহমানের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৩’শ মন কৈ মাছ মেরে ফেলে। যার মূল্য প্রায় ১৫/২০ লক্ষ টাকা।
তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে মিজানুর রহমান মাছ চাষ করতে গিয়ে অনেক টাকা ঋনগ্রস্থ হয়েছে। এক সপ্তাহ পর মাছগুলো বিক্রি করে মানুষের পাওনা টাকা পরিশোধ করবে এমন চিন্তা ছিল তার। কিন্তু মাছের এমন অবস্থা দেখে আমার ছেলে মিজানুর রহমান জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। বর্তমানে সে কচুয়া উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি দুর্বৃত্তরা খুঁজে বের করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীসহ সরকারের প্রতি সহযোগিতা কামনা করেন।
এলাকাবাসী জানান, আমাদের এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ মাছ চাষ করে। অনেক টাকা বিনিয়োগ এবং দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় মাছ বিক্রি করতে। কিন্তু দূর্বৃত্তদের দেওয়া বিষে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব মাছ মরে গেল মিজানের পুকুরের। এভাবে চললে মাছ চাষ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
স্থানীয় এক মাছ চাষী বলেন, বিষ প্রয়োগ করে মাছ মারায় মিজানুর রহমানের প্রায় ১৫-২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে এই ঘটনার সুস্থ বিচার ও মিজানুর রহমানের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষী মিজানুর রহমান বলেন, মানুষের কাছ থেকে পুকুরটি বর্গা নিয়ে মাছ চাষ শুরু করি। দূর্বৃত্তরা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে আমার প্রায় ৩’শ মন কৈ মাছ মেরে ফেলে। যার আনুমানিক মূল্য ১৫-২০ লাখ টাকা। যারা আমার মাছ নষ্ট করেছে, আমি তাদের বিচার চাই।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ (অলি) জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।