অনলাইন ডেস্ক:
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুস ‘কোভিড-১৯ নিউমোনিয়ায়’ আক্রান্ত। গত চার দিনে তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি এবং অবনতিও হয়নি। মঙ্গলবার সকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি। তিনি তার হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রবীণ এই মুক্তিযোদ্ধা নিজের প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তার শরীর খারাপ হয়। শনিবার থেকে কিছুটা উন্নতি হয়।
সেই থেকে তার শারীরিক অবস্থা এখন পর্যন্ত একই রকম। মো. ফরহাদের ভাষ্য, ‘স্যার একই রকম আছেন। সকালে উঠে খেয়েছেন। তার চিকিৎসা চলছে।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফেসবুক পেজে প্রতিদিন সকালে ডা. জাফরুল্লাহর স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা জানানো হয়। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক মামুন মুস্তাফির বরাতে সোমবার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সার্বিক শারীরিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, ‘তার ফুসফুস কোভিড নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। যথেষ্ট অক্সিজেন ও অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে। তিনি নিজ থেকে খাবার খেতে পারছেন। রক্তচাপ ও অন্যান্য ক্লিনিক্যাল অবস্থা স্থিতিশীল। তার ফিজিওথেরাপি ও ডায়ালাইসিস চলছে।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তের র্যা পিড টেস্টিং কিট দিয়ে নিজের নমুনা পরীক্ষা করান ডা. জাফরুল্লাহ। ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। এ ছাড়া বিএসএমএমইউর পরীক্ষা থেকেও ২৮ মে তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ৭৯ বছর বয়স্ক এই চিকিৎসক ২৯ মে থেকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার স্ত্রী ও ছেলেও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। তবে তারা শঙ্কামুক্ত।
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ও জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর মুহিব উল্লাহ খোন্দকার সোমবার জানান, শিগগিরই জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পরবর্তী নমুনা পরীক্ষা হবে। তার অবস্থা এখন পর্যন্ত ভালো। তবে ঝুঁকিমুক্ত নন। অক্সিজেন চলছে। করোনার পরবর্তী পরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।