চাঁদপুর শহরে করোনা পরিস্থিতির অবনতি, আক্রান্তরা ঘুরে বেড়াচ্ছে !

  • আপডেট: ০১:০২:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০
  • ৩৮

করোনা ভাইরাসের শহর চাঁদপুর।

বিশেষ প্রতিনিধি:

চাঁদপুর পৌর এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুন) পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১শ’ ১৯জন। প্রতিদিন ঢাকা থেকে করোনার যে রিপোর্ট আসছে, তাতে শহরে আক্রান্তের সংখ্যাই থাকছে বেশী। শহরের লোকজন সচেতন বেশী থাকার কথা থাকলেও কেউই মানছেন না স্বাস্থ্য বিধি। আবার আক্রান্ত লোকদের মধ্যে অনেকেই শহরে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগও উঠেছে। করোনার এই পরিস্থিতিতে অসেচতনতার অভাবে আগামী দিনগুলো খুবই বিপদের মুখোমুখি বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, আজকে পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ২৫৫জন। সদর উপজেলায় আক্রান্ত ১২৯জন। এর মধ্যে পৌরসভা ১১৯জন। বাকী ১০জন ইউনিয়ন পর্যায়ে। এর মধ্যে রামপুর ইউনিয়নে ৪জন, লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নে ৩জন, চান্দ্রা ইউনিয়নে ১জন, শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে ১ জন ও মৈশাদী ইউনিয়নে ১জন।

জেলায় আজ নতুন সনাক্ত ১৯জন। সদরে আজ নতুন সনাক্ত ৫জন। শহরের আদালতপাড়া এক পরিবারের ২ জন, শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নে ১ জন, শহরেতলীর খলিশাডুলীতে ১ জন ও ব্যাংককলোনী ১জন আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে সদর উপজেলার কল্যানপুর ইউনিয়নে বুধবার দুইজন, বাগাদী ইউনিয়নে একজন করেনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এর আগে শহরের ট্রাক রোডে করোনা উপসর্গ নিয়ে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে বুধবার আবুল খায়ের মিজি নামে ওই ব্যাক্তির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ওই পরিবারের লোকজন পিতার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে নারায়নগঞ্জ থেকে এসে বাড়ীতে অবস্থান করছেন।

শহরের নতুন বাজারের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতা নতুন বাজার এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভয়ে অনেকে তাকে কেউ কিছু বলছেন না। তিনি আক্রান্ত হওয়ার পরে মসজিদে এসে নামাজ পড়েছেন। দুইদিন নিজেই ফার্মেসীতে গিয়ে ঔষধ ক্রয় করেছেন এবং ব্যাংকে গিয়েছেন। তার পরিবারের লোকজন তাকে নিষেধ করলেও তিনি তাদের কথা শুনছেন না।

আক্রান্তরোগীদের মধ্যে এর আগেও শহরের গুয়াখোলা ও কোড়ালিয়া রোডের দুই ব্যাক্তি ঘুরে বেড়িয়ে করোনা ছড়িয়েছেন। এছাড়া আরেকটি রাজনৈতিক দলের নেতা এবং একজন সরকারি চাকুরীজীবী করোনা উপসর্গ নিয়ে মসজিদে গিয়ে জুম’আর নামাজ আদায় করেছেন।

এদিকে করোনা পরিস্থিতি যখন চাঁদপুর শহরে অবনতির দিকে যাচ্ছে, ঠিক তখনই সীমিত আকারে লকডাউন খুলে দেয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে শহরের লোকজন। সামাজিক দূরত্বের বিন্দুমাত্র বাস্তবায়ন নেই। যানবাহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঠিক স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

চাঁদপুর শহরে করোনা পরিস্থিতির অবনতি, আক্রান্তরা ঘুরে বেড়াচ্ছে !

আপডেট: ০১:০২:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধি:

চাঁদপুর পৌর এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুন) পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১শ’ ১৯জন। প্রতিদিন ঢাকা থেকে করোনার যে রিপোর্ট আসছে, তাতে শহরে আক্রান্তের সংখ্যাই থাকছে বেশী। শহরের লোকজন সচেতন বেশী থাকার কথা থাকলেও কেউই মানছেন না স্বাস্থ্য বিধি। আবার আক্রান্ত লোকদের মধ্যে অনেকেই শহরে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগও উঠেছে। করোনার এই পরিস্থিতিতে অসেচতনতার অভাবে আগামী দিনগুলো খুবই বিপদের মুখোমুখি বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, আজকে পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ২৫৫জন। সদর উপজেলায় আক্রান্ত ১২৯জন। এর মধ্যে পৌরসভা ১১৯জন। বাকী ১০জন ইউনিয়ন পর্যায়ে। এর মধ্যে রামপুর ইউনিয়নে ৪জন, লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নে ৩জন, চান্দ্রা ইউনিয়নে ১জন, শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে ১ জন ও মৈশাদী ইউনিয়নে ১জন।

জেলায় আজ নতুন সনাক্ত ১৯জন। সদরে আজ নতুন সনাক্ত ৫জন। শহরের আদালতপাড়া এক পরিবারের ২ জন, শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নে ১ জন, শহরেতলীর খলিশাডুলীতে ১ জন ও ব্যাংককলোনী ১জন আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে সদর উপজেলার কল্যানপুর ইউনিয়নে বুধবার দুইজন, বাগাদী ইউনিয়নে একজন করেনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এর আগে শহরের ট্রাক রোডে করোনা উপসর্গ নিয়ে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে বুধবার আবুল খায়ের মিজি নামে ওই ব্যাক্তির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ওই পরিবারের লোকজন পিতার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে নারায়নগঞ্জ থেকে এসে বাড়ীতে অবস্থান করছেন।

শহরের নতুন বাজারের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতা নতুন বাজার এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভয়ে অনেকে তাকে কেউ কিছু বলছেন না। তিনি আক্রান্ত হওয়ার পরে মসজিদে এসে নামাজ পড়েছেন। দুইদিন নিজেই ফার্মেসীতে গিয়ে ঔষধ ক্রয় করেছেন এবং ব্যাংকে গিয়েছেন। তার পরিবারের লোকজন তাকে নিষেধ করলেও তিনি তাদের কথা শুনছেন না।

আক্রান্তরোগীদের মধ্যে এর আগেও শহরের গুয়াখোলা ও কোড়ালিয়া রোডের দুই ব্যাক্তি ঘুরে বেড়িয়ে করোনা ছড়িয়েছেন। এছাড়া আরেকটি রাজনৈতিক দলের নেতা এবং একজন সরকারি চাকুরীজীবী করোনা উপসর্গ নিয়ে মসজিদে গিয়ে জুম’আর নামাজ আদায় করেছেন।

এদিকে করোনা পরিস্থিতি যখন চাঁদপুর শহরে অবনতির দিকে যাচ্ছে, ঠিক তখনই সীমিত আকারে লকডাউন খুলে দেয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে শহরের লোকজন। সামাজিক দূরত্বের বিন্দুমাত্র বাস্তবায়ন নেই। যানবাহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঠিক স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে।