চাঁদপুর সদর উপজেলায় নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

  • আপডেট: ০৬:৪৫:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুন ২০২০
  • ২৪

ফাইল ছবি-নতুনেরকথা।

চাঁদপুর, ২ জুন, মঙ্গলবার:

চাঁদপুর সদর উপজেলায় নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সদর উপজেলার নমুনা সংগ্রহে নিয়োজিত দুই স্বাস্থ্যকর্মীর একজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, অন্যজন করোনা উপসর্গে নিয়ে অসুস্থ হয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকায় বিকল্প আর কোনো নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্যকর্মী  না থাকায় এ স্বিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন।

এমন পরিস্থিতিতে চাঁদপুর জেলার সর্বাধিক করোনা শনাক্ত হওয়া চাঁদপুর সদর উপজেলায় নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এর ফলে সদর উপজেলায় বাসা-বাড়িতে যেয়ে নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলো।

একই  সাথে করোনার উপসর্গ নিয়ে বাসা-বাড়িতে মারা যাওয়া লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করাও বন্ধ হয়ে গেল। মঙ্গলবার বালিয়ায় এমন একজনের মৃত্যুর খবর শুনে দাফনের জন্য বিশেষ টিম পাঠালেও নমুনা সংগ্রহ করতে পারেনি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ অবস্থায় চাঁদপুরে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের শিকার সদর উপজেলায় করোনা রোগী সনাক্তকরণ কার্যক্রম বড় ধরনের বাধার সম্মুখীন হলো।

মঙ্গলবার সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জেলার ২১৯জন শনাক্তকৃত করোনা রোগীর মধ্যে ১১৬জন’ই সদর উপজেলার।  তবে এই উপজেলায় অবস্থিত জেলা সদর হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে। এমনিতেই ওই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী ও উপসর্গ থাকা রোগীর চাপ জেলার মধ্যে সর্বাধিক। এখন তা আরো তীব্র হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে বাসা-বাড়িতে যেয়ে নমুনা সংগ্রহের কার্যক্রম তাদের নেই।

চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর প্রবাহকে বলেন, করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করার মতো দক্ষ ল্যাব টেকনোলজিস্ট আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে ছিল না। সিভিল সার্জনকে অনুরোধ করে চাঁদপুর টিভি (যক্ষ্মা) ক্লিনিকের একজন ল্যাব টেকনোলজিস্টকে ডেপুটেশনে এনে আমরা এতদিন নমুনা সংগ্রহ করি।

কিন্তু সেই ল্যাব টেকনোলজিস্টের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে আমরা তার নমুনা পরীক্ষা করাই। সোমবার রিপোর্ট আসে তিনি করোনায় আক্রান্ত। তাই তাকে ১৪ দিনের জন্য আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তার সহকারী হিসেবে যিনি কাজ করে আসছিলেন তিনিও অসুস্থ। তাছাড়া আক্রান্ত ল্যাব টেকনোলজিস্টের সাথে কাজ করায় তাকেও হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। আমাদের আরেকজন পিএলসিএ পদধারী স্বাস্থ্যকর্মীর রিপোর্টও করোনা পজেটিভ এসেছে আজ।

এ অবস্থায় বিকল্প অন্য কোনো উপযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী না থাকায় বাধ্য হয়েই আমরা আজ মঙ্গলবার (২ জুুন) থেকে করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ বন্ধ করে দিয়েছি। এতে মানুষের অনেক সমস্যা হবে। কিন্তু আমাদেরও কিছু করার নেই এখন। তারা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত এই কাজ বন্ধ থাকবে। তাদের দু’জনের একজন সুস্থ হলেও আমরা পুনরায় নমুনা সংগ্রহ করবো।  তিনি আরো বলেন, আমি এখন সিভিল সার্জন স্যারের সাথে কথা বলে চেষ্টা করবো অন্য কোথাও থেকে ল্যাব টেকনোলজিস্ট এনে নমুনা সংগ্রহের কাজটি শুরু করার। তবে আমাদের টেলিমেডিসন সেবা ও পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

চাঁদপুর সদর উপজেলায় নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

আপডেট: ০৬:৪৫:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুন ২০২০

চাঁদপুর, ২ জুন, মঙ্গলবার:

চাঁদপুর সদর উপজেলায় নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সদর উপজেলার নমুনা সংগ্রহে নিয়োজিত দুই স্বাস্থ্যকর্মীর একজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, অন্যজন করোনা উপসর্গে নিয়ে অসুস্থ হয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকায় বিকল্প আর কোনো নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্যকর্মী  না থাকায় এ স্বিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন।

এমন পরিস্থিতিতে চাঁদপুর জেলার সর্বাধিক করোনা শনাক্ত হওয়া চাঁদপুর সদর উপজেলায় নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এর ফলে সদর উপজেলায় বাসা-বাড়িতে যেয়ে নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলো।

একই  সাথে করোনার উপসর্গ নিয়ে বাসা-বাড়িতে মারা যাওয়া লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করাও বন্ধ হয়ে গেল। মঙ্গলবার বালিয়ায় এমন একজনের মৃত্যুর খবর শুনে দাফনের জন্য বিশেষ টিম পাঠালেও নমুনা সংগ্রহ করতে পারেনি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ অবস্থায় চাঁদপুরে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের শিকার সদর উপজেলায় করোনা রোগী সনাক্তকরণ কার্যক্রম বড় ধরনের বাধার সম্মুখীন হলো।

মঙ্গলবার সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জেলার ২১৯জন শনাক্তকৃত করোনা রোগীর মধ্যে ১১৬জন’ই সদর উপজেলার।  তবে এই উপজেলায় অবস্থিত জেলা সদর হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে। এমনিতেই ওই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী ও উপসর্গ থাকা রোগীর চাপ জেলার মধ্যে সর্বাধিক। এখন তা আরো তীব্র হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে বাসা-বাড়িতে যেয়ে নমুনা সংগ্রহের কার্যক্রম তাদের নেই।

চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর প্রবাহকে বলেন, করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করার মতো দক্ষ ল্যাব টেকনোলজিস্ট আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে ছিল না। সিভিল সার্জনকে অনুরোধ করে চাঁদপুর টিভি (যক্ষ্মা) ক্লিনিকের একজন ল্যাব টেকনোলজিস্টকে ডেপুটেশনে এনে আমরা এতদিন নমুনা সংগ্রহ করি।

কিন্তু সেই ল্যাব টেকনোলজিস্টের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে আমরা তার নমুনা পরীক্ষা করাই। সোমবার রিপোর্ট আসে তিনি করোনায় আক্রান্ত। তাই তাকে ১৪ দিনের জন্য আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তার সহকারী হিসেবে যিনি কাজ করে আসছিলেন তিনিও অসুস্থ। তাছাড়া আক্রান্ত ল্যাব টেকনোলজিস্টের সাথে কাজ করায় তাকেও হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। আমাদের আরেকজন পিএলসিএ পদধারী স্বাস্থ্যকর্মীর রিপোর্টও করোনা পজেটিভ এসেছে আজ।

এ অবস্থায় বিকল্প অন্য কোনো উপযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী না থাকায় বাধ্য হয়েই আমরা আজ মঙ্গলবার (২ জুুন) থেকে করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ বন্ধ করে দিয়েছি। এতে মানুষের অনেক সমস্যা হবে। কিন্তু আমাদেরও কিছু করার নেই এখন। তারা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত এই কাজ বন্ধ থাকবে। তাদের দু’জনের একজন সুস্থ হলেও আমরা পুনরায় নমুনা সংগ্রহ করবো।  তিনি আরো বলেন, আমি এখন সিভিল সার্জন স্যারের সাথে কথা বলে চেষ্টা করবো অন্য কোথাও থেকে ল্যাব টেকনোলজিস্ট এনে নমুনা সংগ্রহের কাজটি শুরু করার। তবে আমাদের টেলিমেডিসন সেবা ও পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।