আন্তর্জতিক ডেস্ক:
কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার দৃশ্য নাড়া দিয়েছে পুরো বিশ্বের মানুষকে। তাই আমেরিকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে সংহতি প্রকাশ করে এবার রাস্তায় নেমেছে লন্ডন, বার্লিনসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরের সাধারণ জনতা। সেন্ট্রাল লন্ডনে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শ্লোগান দেয়, ‘নো জাস্টিজ নো পিচ’ (ন্যায়বিচার নাই, শান্তিও নাই)। বিপুল সংখ্যক জনতা শ্লোগান দিতে দিতে হাউজ অব পার্লামেন্টের দিকে যান, তারপর যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সামনে অবস্থান গ্রহণ করে বিক্ষোভ শেষ করেন।
লন্ডনে মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাইরে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে ৩ জনকে করোনাভাইরাস লকডাউন নির্দেশনা ভাঙ্গার কারণে আর ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশের ওপর হামলার কারণে।
জার্মানির বার্লিনেও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে শতশত মানুষ। তারা শ্লোগান দেয়, জর্জ ফ্লয়েডের জন্য ন্যায়বিচার চাই, আমাদের হত্যা বন্ধ কর ইত্যাদি। বিক্ষোভ হয়েছে কানাডার টরন্টোতেও। সেখানেও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে কয়েকশ মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রে ৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েডকে ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময় একজন পুলিশ কর্মকর্তা গাড়ির নীচে হাঁটু দিয়ে ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরে। সে বারবার বলতে থাকে, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না।’ পরবর্তীতে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে করোনা উপেক্ষা করে প্রতিবাদে সরব হন হাজার হাজার মানুষ। হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর বিক্ষোভকারীরা সহিংস হয়ে ওঠেন শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন লাগিয়ে দেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শনিবার যুক্তরষ্ট্রের ১৬টি রাজ্যের ২৫টি শহরে কারফিউ জারি করা হয়। ইতিমধ্যে ওই চার পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার জন্য মূল অভিযুক্ত ডেরেক শভিনকে সোমবার আদালতে হাজির করা হবে।
সূত্র: রয়টার্স