অনলাইন ডেস্ক:
রমজানের শেষ জুমআর নামাজ আজ। এই জুমআকে জুমআতুল বিদা বলা হয়। মুসলিম বিশ্বে এই জুমতার গুরুত্ব অনেক।
জুমআতুল বিদায় মসজিদে মসজিদে বিশেষ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে বিশেষ খুতবা কিংবা খুতবার আগে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করবেন খতিবরা।
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চাঁদপুর জেলার তথা বাংলাদেশের বৃহত্তর জুময়াতুল বিদার জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে।
রমজানে ইতিমধ্যে মুমিনরা তিনটি জুমআ অতিবাহিত করেছেন। আজ রমজানের বিদায়ী জুমআর দ্বার প্রান্তে। তাই কুরআন নাজিলের মাসের মর্যাদা ও বরকতের সঙ্গে জুমআর মর্যাদা ও ফজিলতে মুমিন রোজাদারের আমল ও হৃদয় হোক আলোকিত।
জুমআর নামাজের মর্যাদা সম্পর্কে হজরত সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, `তোমরা জুমআর নামাজে উপস্থিত হও এবং ইমামের কাছাকাছি হয়ে দাঁড়াও। কেননা যে ব্যক্তি জুমআর নামাজে সবার পেছনে উপস্থিত হবে, জান্নাতে প্রবেশ ক্ষেত্রেও সে সবার পিছনেই পড়ে থাকবে।’ (মুসনাদে আহমদ)
মুসলিম উম্মাহর কাছে জুমআর দিনটি সপ্তাহিক ইবাদতের দিন এবং ঈদ হিসেবে গণ্য। এ দিনের ফজিলত এমনিতেই বেশি। তবে রমজানের শেষ দশকে হওয়ার কারণে এ জুমআর সঙ্গে শেষ দশকের ফজিলতও যোগ হয়েছে। জুমআর ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সূর্যোদয় হওয়ার সবগুলো দিনের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম ও শ্রেষ্ঠ হলো জুমআর দিন। এই জুমআর দিনেই হজরত আদম আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন এবং জুমআর দিনই তাকে জান্নাত দান করেন এবং জুমআর দিনেই তাকে জান্নাত থেকে এই দুনিয়ায় পাঠান এবং কেয়ামতও এই জুমআর দিনেই অনুষ্ঠিত হবে। (মুসলিম)।