করোনার হটস্পট হয়ে উঠছে চাঁদপুর

  • আপডেট: ০৭:৪৪:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০২০
  • ৪১

চাঁদপুরের মানচিত্র। ছবি-নতুনেরকথা।

মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ:

ধীরে ধীরে করোনার (কোভিড-১৯) হটস্পট হয়ে উঠছে। চাঁদপুর প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। সাথে সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। মাঝে ১৮ ও ১৯ মে বিরতি দিয়ে বুধবার জেলায় ১৮ জনের করোনা রোগীর নমুনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।

বিশেষজ্ঞদের অভিমত জনগণ সঠিকভাবে লকডাউন পালন না করা এবং লকডাউন না মেনে অবাধে চলা ফেরার কারণে দিনই দিনই জেলায় বাড়ছে করোনা (কোভিড-১৯) রোগীর সংখ্যা। সাথে সাথে বাড়ছে আতঙ্ক।

বুধবারের ১৮জনসহ জেলায় করোনায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪জনে। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৮জন। সুস্থ হয়েছেন ২১জন। চিকিৎসাধীন আছেন ৭২জন।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৩জনের মধ্যে চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখা মোড় এলাকার মৃত বৃদ্ধ-বৃদ্ধা (স্বামী-স্ত্রী) এবং শাহরাস্তির একজন রয়েছেন। তারা সবাই করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। পড়ে তাদের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে।

নতুন করে করোনা শনাক্তকৃত চাঁদপুর শহরের অন্যরা হলেন- মমিনপাড়া এলাকার বাসিন্দা জেলা পরিষদের একজন স্টাফ, তার স্ত্রী ও ৪ সন্তান (পরিবারের মোট ৬জন), জোড়পুকুরপাড়া এলাকার ১জন, বিপণীবাগ এলাকার ১জন, বেগম মসজিদ সংলগ্ন ১জন ও স্টেডিয়াম রোড এলাকার ১জন। শনাক্ত অন্যদের মধ্যে শাহরাস্তির ৩জন, ফরিদগঞ্জের ১জন ও মতলব দক্ষিণের ১জন রয়েছেন।

চাঁদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার জেলার মোট ৮৫জনের নমুনা টেস্টের রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ১৮জন পজেটিভ (৩জন মৃতসহ)। আর বাকী ৬৭জনের রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ।

চাঁদপুরে জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ৯৪জনের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ৫৩, ফরিদগঞ্জে ১১, মতলব উত্তরে ৬, হাজীগঞ্জে ৫, মতলব দক্ষিণ ৬, কচুয়ায় ৪, শাহরাস্তিতে ৭ ও হাইমচরে ২জন।

সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ বুধবার দুপুরে এক প্রেস নোটে জানান, চাঁদপুর থেকে আরো ২০জনের নমুুনা প্রেরণ করা হয়েছে করোনা টেস্টের জন্য। এ নিয়ে মোট প্রেরণকৃত নমুনার সংখ্যা দাঁড়ালো ১২২০। এর বিপরীতে রিপোর্ট এসেছে ১০৫৭টি। রিপোর্ট অপেক্ষমান ১৬৩টি।

তিনি জানান, চাঁদপুর জেলায় এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৬১জন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫১জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রোগীর সংখ্যা ১০জন। জেলায় মোট হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ৩৬৬৩জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৬০৯জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৪জন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে ৯ কিশোর গ্যাং আটক

করোনার হটস্পট হয়ে উঠছে চাঁদপুর

আপডেট: ০৭:৪৪:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০২০

মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ:

ধীরে ধীরে করোনার (কোভিড-১৯) হটস্পট হয়ে উঠছে। চাঁদপুর প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। সাথে সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। মাঝে ১৮ ও ১৯ মে বিরতি দিয়ে বুধবার জেলায় ১৮ জনের করোনা রোগীর নমুনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।

বিশেষজ্ঞদের অভিমত জনগণ সঠিকভাবে লকডাউন পালন না করা এবং লকডাউন না মেনে অবাধে চলা ফেরার কারণে দিনই দিনই জেলায় বাড়ছে করোনা (কোভিড-১৯) রোগীর সংখ্যা। সাথে সাথে বাড়ছে আতঙ্ক।

বুধবারের ১৮জনসহ জেলায় করোনায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪জনে। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৮জন। সুস্থ হয়েছেন ২১জন। চিকিৎসাধীন আছেন ৭২জন।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৩জনের মধ্যে চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখা মোড় এলাকার মৃত বৃদ্ধ-বৃদ্ধা (স্বামী-স্ত্রী) এবং শাহরাস্তির একজন রয়েছেন। তারা সবাই করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। পড়ে তাদের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে।

নতুন করে করোনা শনাক্তকৃত চাঁদপুর শহরের অন্যরা হলেন- মমিনপাড়া এলাকার বাসিন্দা জেলা পরিষদের একজন স্টাফ, তার স্ত্রী ও ৪ সন্তান (পরিবারের মোট ৬জন), জোড়পুকুরপাড়া এলাকার ১জন, বিপণীবাগ এলাকার ১জন, বেগম মসজিদ সংলগ্ন ১জন ও স্টেডিয়াম রোড এলাকার ১জন। শনাক্ত অন্যদের মধ্যে শাহরাস্তির ৩জন, ফরিদগঞ্জের ১জন ও মতলব দক্ষিণের ১জন রয়েছেন।

চাঁদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার জেলার মোট ৮৫জনের নমুনা টেস্টের রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ১৮জন পজেটিভ (৩জন মৃতসহ)। আর বাকী ৬৭জনের রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ।

চাঁদপুরে জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ৯৪জনের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ৫৩, ফরিদগঞ্জে ১১, মতলব উত্তরে ৬, হাজীগঞ্জে ৫, মতলব দক্ষিণ ৬, কচুয়ায় ৪, শাহরাস্তিতে ৭ ও হাইমচরে ২জন।

সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ বুধবার দুপুরে এক প্রেস নোটে জানান, চাঁদপুর থেকে আরো ২০জনের নমুুনা প্রেরণ করা হয়েছে করোনা টেস্টের জন্য। এ নিয়ে মোট প্রেরণকৃত নমুনার সংখ্যা দাঁড়ালো ১২২০। এর বিপরীতে রিপোর্ট এসেছে ১০৫৭টি। রিপোর্ট অপেক্ষমান ১৬৩টি।

তিনি জানান, চাঁদপুর জেলায় এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৬১জন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫১জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রোগীর সংখ্যা ১০জন। জেলায় মোট হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ৩৬৬৩জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৬০৯জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৪জন।