চাঁদপুর, ১৯ মে, মঙ্গলবার:
চাঁদপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃদ্ধা স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছে। ওই বৃদ্ধা দম্পতির ছেলে ও নাতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। অপর দিকে একই দিনে কচুয়া উপজেলার পালগিরি গ্রামের উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মানিক সরকার (৫০) করোনা উপসর্গ নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসলে তার মৃত্যু হয়।
জানাযায়, চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখা মোড় এলাকার বাসিন্দা মুজিবুর রহমান পাটোয়ারী (৮৭) ও স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৭২) করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। রাবেয়া বেগম সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে ও মুজিবুর রহমান পাটোয়ারী মঙ্গলবার ভোর ৫টায় মারা গেছেন। স্ত্রীর মৃত্যুর ১০ ঘণ্টা পর স্বামী মারা যান। তাদের এক ছেলে ও নাতির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
রোববার সকালে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল করোনা টেস্টের জন্য। সেই রিপোর্ট এখনো অপেক্ষমান। এ কারণে তাদেরকে চাঁদপুর শহরতলির আশিকাটি গ্রামের বাড়িতে বিশেষ ব্যবস্থায় বৃদ্ধাকে সোমবার রাতে বৃদ্ধকে মঙ্গলবার (আজ) সকালে দাফন করা হয়।
জানা গেছে, ওই বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে ও নাতির করোনা শনাক্ত হয়েছে ইতিমধ্যে। এ কারণে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয় রোববার। রিপোর্ট আসার আগেই তারা মারা যান।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন বলেন, সন্ধ্যায় মারা যাওয়া বৃদ্ধার ছেলে ও নাতির শরীরে ইতিমধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে। বাকীদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বৃদ্ধার মধ্যেও করোনার উপসর্গ বিদ্যমান ছিল। তিনি কিছুদিন ধরে জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত ছিলেন। আর সোমবার দিনভর তার প্রচুর পাতলা পায়খানা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে জানা যাবে তারা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা।
অপর দিকে চুয়া উপজেলার পালগিরি গ্রামের উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মানিক সরকার (৫০) কচুয়ায় করোনা উপসর্গে নিহত কয়েকদিন যাবৎ সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এমনি উপসর্গ নিয়ে গত শুক্রবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি আসেন এবং মঙ্গলবার দিবাগত রাত তার নিজ বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সালাউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমরা মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছি। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা দাফন কমিটি, অফিসার ইনচার্জের প্রতিনিধি এসআই তাজুল ইসলাম সহ তার ফোর্স, হাসপাতাল প্রতিনিধি সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে। তার মৃত্যুর খবরে এলাকা বাসীর মধ্যে করোনায় আতঙ্কিত হওয়ার ভয়ে কেউ তাকে দেখতে যায় নি।