দৌলতদিয়ায় ঢাকাফেরত যাত্রীদের ভিড়

  • আপডেট: ০৪:০৪:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০
  • ২৫

অনলাইন ডেস্ক:

ঢাকাফেরত যাত্রীদের চাপ বেড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। ভিড়ের কারণে ফেরিতে নেই তিল ধারনের ঠাঁই।

সোমবার সকাল ৮টার দিকে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। অন্যদিকে ঢাকামুখী যাত্রীদের নদী পারাপারের চাপও ছিল চোখে পড়ার মতো। ঘাটে ফেরির পন্টুনে ছোট গাড়িগুলোর অবাধ যাতায়াতের কারণে প্রচুর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঘাটে আসা যাত্রীদের।

দৌলতদিয়া নৌপুলিশের কর্মকর্তাদের দু’একজনকে দেখা গেলেও সেখানে নেই কোনো নিয়ন্ত্রণ।

এ বিষয়ে দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. মুন্নাফ শেখ বলেন, কতক্ষণ অটোরিকশা ও হোন্ডার চালকদের নিয়ন্ত্রণ করব বলেন? এইমাত্র আমি নিজে সেখানকার গাড়িগুলোর নিয়ন্ত্রণ করে অফিসে এলাম।

ঢাকামুখী যাত্রী গার্মেন্টকর্মী মুরাদ হোসেন বলেন, অফিস থেকে ফোন করায় সেহরি খেয়ে ফরিদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে পাটুরিয়াঘাট পর্যন্ত গিয়ে আর যেতে পারিনি। প্রশাসনের লোকেরা ঢাকায় যেতে বাধা দিচ্ছে, যে কারণে বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। পথে পথে এ রকম বাধা দিলে কীভাবে ঢাকায় যাব বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

রিফাত নামে ঢাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, ভোর ৪টার দিকে নিজের পরিবারের লোকজন নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছি। এখন ঘাটে এসে দেখি মাইক্রোবাস নেই। যাও বা দু’একটি আছে তাও তারা বেশি ভাড়া চাচ্ছে। তার পরও তো যেতেই হবে। গণপরিবহন না থাকায় খুব কষ্ট হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়াঘাট শাখার টিএস আনসার আলী বলেন, দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে পাটুরিয়া নৌরুটে বড় চারটি ফেরি দিয়ে সীমিত আকারে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, হোন্ডা চলাচল করছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়াঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. আবু আবদুল্লাহ রনি যুগান্তরকে বলেন, ঢাকাফেরত যাত্রীদের চাপ থাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বড় চারটি ফেরি চালু আছে। সামনে ঈদ থাকার কারণে যাত্রীদের চাপ আগের থেকে বেশি আছে বলে তিনি জানান।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে কিটনাশক পানে স্কুলছাত্রীর আ ত্ম হ ত্যা!

দৌলতদিয়ায় ঢাকাফেরত যাত্রীদের ভিড়

আপডেট: ০৪:০৪:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

ঢাকাফেরত যাত্রীদের চাপ বেড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। ভিড়ের কারণে ফেরিতে নেই তিল ধারনের ঠাঁই।

সোমবার সকাল ৮টার দিকে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। অন্যদিকে ঢাকামুখী যাত্রীদের নদী পারাপারের চাপও ছিল চোখে পড়ার মতো। ঘাটে ফেরির পন্টুনে ছোট গাড়িগুলোর অবাধ যাতায়াতের কারণে প্রচুর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঘাটে আসা যাত্রীদের।

দৌলতদিয়া নৌপুলিশের কর্মকর্তাদের দু’একজনকে দেখা গেলেও সেখানে নেই কোনো নিয়ন্ত্রণ।

এ বিষয়ে দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. মুন্নাফ শেখ বলেন, কতক্ষণ অটোরিকশা ও হোন্ডার চালকদের নিয়ন্ত্রণ করব বলেন? এইমাত্র আমি নিজে সেখানকার গাড়িগুলোর নিয়ন্ত্রণ করে অফিসে এলাম।

ঢাকামুখী যাত্রী গার্মেন্টকর্মী মুরাদ হোসেন বলেন, অফিস থেকে ফোন করায় সেহরি খেয়ে ফরিদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে পাটুরিয়াঘাট পর্যন্ত গিয়ে আর যেতে পারিনি। প্রশাসনের লোকেরা ঢাকায় যেতে বাধা দিচ্ছে, যে কারণে বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। পথে পথে এ রকম বাধা দিলে কীভাবে ঢাকায় যাব বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

রিফাত নামে ঢাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, ভোর ৪টার দিকে নিজের পরিবারের লোকজন নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছি। এখন ঘাটে এসে দেখি মাইক্রোবাস নেই। যাও বা দু’একটি আছে তাও তারা বেশি ভাড়া চাচ্ছে। তার পরও তো যেতেই হবে। গণপরিবহন না থাকায় খুব কষ্ট হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়াঘাট শাখার টিএস আনসার আলী বলেন, দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে পাটুরিয়া নৌরুটে বড় চারটি ফেরি দিয়ে সীমিত আকারে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, হোন্ডা চলাচল করছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়াঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. আবু আবদুল্লাহ রনি যুগান্তরকে বলেন, ঢাকাফেরত যাত্রীদের চাপ থাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বড় চারটি ফেরি চালু আছে। সামনে ঈদ থাকার কারণে যাত্রীদের চাপ আগের থেকে বেশি আছে বলে তিনি জানান।