রাতের আঁধারে অসহায় মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন স্বপ্নঘুড়ি ফাউন্ডেশন

  • আপডেট: ১০:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০
  • ৩৩

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাতের আঁধারে দরজার ও পারে স্লোগান নিয়ে অসহায় মানুষের ঘরে ত্রান পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু করেন সারাদেশ ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী স্বপ্নঘুড়ি ফাউন্ডেশন । করোনাকালের সংকট মোকাবেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে রাতের আঁধারে তারা পৌঁছে দেন অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে।

এপ্রিল ও মে মাসের শুরুতে দেশের বিভিন্ন যায়গায় ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। স্বপ্নঘুড়ি ফাউন্ডেশন উদ্যোগে গত সোমবার রাতের অন্ধকারে গুলবাহার অসহায় মানুষের সহায়তা দিয়েছেন। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে একই নিয়মে প্রতি মাসে সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন বলে জানান স্বপ্নঘুড়ি ফাউন্ডেশন নেতৃবৃন্দ’রা।

দেশ ব্যাপী আলোচিত স্বুপ্নঘুড়ি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো.নুরে আলম রিহাত বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ দেওয়া হলে ও তাতে অভাবী মানুষগুলোর প্রয়োজন পুরোপুরি মিটছে না। কর্মহীন এই মানুষেরা তখন উপার্জনের আশায় বা সহায়তা পাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘরের বাইরে গিয়ে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ছেন। এ কারণে আমাদের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের ঘরে থাকতে উৎসাহিত করছি। পাশাপাশি আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সহায়তা দিচ্ছি। আমরা প্রানঘাতি করোনা ভাইরাস বাংলাদেশ আসার পর থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ও চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় অসহায়, দিনমজুর, কর্মহীন মানুষের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খাদ্য ও পবিত্র মাহে রমজান মাসে ইফতার ও ফ্রি সবজি বাজারসহ মানুষের সেবামূলক কার্যক্রমে কাজ অব্যাহত রেখেছি।

কারণ পেটে ক্ষুধা থাকলে তারা ঘরে বসে থাকার আহবান শুনবেন না। এজন্য আমাদের ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিটি অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ২৫দিনের নিত্য প্রয়যোনী খাবার রাতের আঁধারে পৌঁছে দিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, মূলত করোনাকালে বেকার হয়ে পড়া রিকশা-ভ্যান-সিএনজি অটোরিকশার চালকদের এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার নিম্ন মধ্যবিত্ত যেসব মানুষ সংকটে আছেন, কাউকে মুখ ফুটে বলতেও পারছেন না, এমন লোকদের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। চুপি চুপি সন্ধ্যার পর বের হয়ে তালিকা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ব্যক্তির বাড়িতে প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এভাবে সবাই যদি সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান, তাহলেই এই যুদ্ধটা অনেক সহজ হয়ে যায়।

ফাউন্ডেশন পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন রিজন জানান, সারাদেশেই শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ এখন বিপাকে আছেন। আমরা প্রত্যেক বস্তায় ২৫ কেজি চাউল,ডাল ৩ কেজি, তৈল ৫ কেজি,মুরগির মাংস ৫ কেজি,রুই মাছ ৩ কেজি,আলু ১০ কেজি,পেঁয়াজ ৩কেজি,ছোলা বুট ৩ কেজি,খেজুর ১কেজ,গুড়া দুধ ৫০০ প্রাম,সেমাই ১ কেজি,চিনি ২ কেজি, ট্যাংগ ৫০০ গ্রাম, মুড়ি ১ কেজি,রসুন ১ কেজি,আদা ৫০০ গ্রাম, লবন ২ কেজি, ডিম ৩০ টি,কাঁচা বাজার ৫০০ টাকা,গরম মশলা ২০০ টাকা ইত্যাদি। আমাদের স্বপ্নঘুড়ি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রায় ২৫ দিনের খাবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

রাতের আঁধারে অসহায় মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন স্বপ্নঘুড়ি ফাউন্ডেশন

আপডেট: ১০:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাতের আঁধারে দরজার ও পারে স্লোগান নিয়ে অসহায় মানুষের ঘরে ত্রান পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু করেন সারাদেশ ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী স্বপ্নঘুড়ি ফাউন্ডেশন । করোনাকালের সংকট মোকাবেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে রাতের আঁধারে তারা পৌঁছে দেন অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে।

এপ্রিল ও মে মাসের শুরুতে দেশের বিভিন্ন যায়গায় ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। স্বপ্নঘুড়ি ফাউন্ডেশন উদ্যোগে গত সোমবার রাতের অন্ধকারে গুলবাহার অসহায় মানুষের সহায়তা দিয়েছেন। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে একই নিয়মে প্রতি মাসে সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন বলে জানান স্বপ্নঘুড়ি ফাউন্ডেশন নেতৃবৃন্দ’রা।

দেশ ব্যাপী আলোচিত স্বুপ্নঘুড়ি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো.নুরে আলম রিহাত বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ দেওয়া হলে ও তাতে অভাবী মানুষগুলোর প্রয়োজন পুরোপুরি মিটছে না। কর্মহীন এই মানুষেরা তখন উপার্জনের আশায় বা সহায়তা পাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘরের বাইরে গিয়ে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ছেন। এ কারণে আমাদের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের ঘরে থাকতে উৎসাহিত করছি। পাশাপাশি আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সহায়তা দিচ্ছি। আমরা প্রানঘাতি করোনা ভাইরাস বাংলাদেশ আসার পর থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ও চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় অসহায়, দিনমজুর, কর্মহীন মানুষের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খাদ্য ও পবিত্র মাহে রমজান মাসে ইফতার ও ফ্রি সবজি বাজারসহ মানুষের সেবামূলক কার্যক্রমে কাজ অব্যাহত রেখেছি।

কারণ পেটে ক্ষুধা থাকলে তারা ঘরে বসে থাকার আহবান শুনবেন না। এজন্য আমাদের ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিটি অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ২৫দিনের নিত্য প্রয়যোনী খাবার রাতের আঁধারে পৌঁছে দিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, মূলত করোনাকালে বেকার হয়ে পড়া রিকশা-ভ্যান-সিএনজি অটোরিকশার চালকদের এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার নিম্ন মধ্যবিত্ত যেসব মানুষ সংকটে আছেন, কাউকে মুখ ফুটে বলতেও পারছেন না, এমন লোকদের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। চুপি চুপি সন্ধ্যার পর বের হয়ে তালিকা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ব্যক্তির বাড়িতে প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এভাবে সবাই যদি সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান, তাহলেই এই যুদ্ধটা অনেক সহজ হয়ে যায়।

ফাউন্ডেশন পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন রিজন জানান, সারাদেশেই শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ এখন বিপাকে আছেন। আমরা প্রত্যেক বস্তায় ২৫ কেজি চাউল,ডাল ৩ কেজি, তৈল ৫ কেজি,মুরগির মাংস ৫ কেজি,রুই মাছ ৩ কেজি,আলু ১০ কেজি,পেঁয়াজ ৩কেজি,ছোলা বুট ৩ কেজি,খেজুর ১কেজ,গুড়া দুধ ৫০০ প্রাম,সেমাই ১ কেজি,চিনি ২ কেজি, ট্যাংগ ৫০০ গ্রাম, মুড়ি ১ কেজি,রসুন ১ কেজি,আদা ৫০০ গ্রাম, লবন ২ কেজি, ডিম ৩০ টি,কাঁচা বাজার ৫০০ টাকা,গরম মশলা ২০০ টাকা ইত্যাদি। আমাদের স্বপ্নঘুড়ি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রায় ২৫ দিনের খাবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।