এই স্বীকৃতি প্রাপ্তির বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় ডাঃ পলিন তাঁর বিভাগীয় পরিচালক স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আসলে কাজ করি নিজের তাগিদে। আমরা চিকিৎসকরা মানবসেবার যে ব্রত নিয়ে এ পেশায় যোগদান করেছি, সেটি যদি কর্মক্ষেত্রে এসে বাস্তবে রূপ দিতে পারি, তখন নিজের কাছে ভালো লাগে। দেশের জনগণের প্রতি আমার যে দায়বদ্ধতা, তা পূরণ করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করি। কোভিড-১৯ নামে যে মহামারী আমাদের উপর চেপে বসেছে, এমন দীর্ঘ সময়ের মহামারী আমরা জনগণ অতীতে কখনো মোকাবেলা করিনি। একটু অসাবধানতা এবং অসতর্কতার কারণে যে কোনো সময় যে কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এমন ঝুঁকি নিয়েও আমরা কাজ করছি, জনগণের পাশে থাকছি। যখন যে মুহূর্তে ডাক আসে, তখনই ছুটে যাই কর্তব্য পালনে। এ জন্যে ডাঃ পলিন তাঁর সহকর্মীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এই স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে ডাঃ সাজেদা বেগম পলিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ হাসান শাহ্রিয়ার কবীর, চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহসহ স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি মনে করেন, এই স্বীকৃতি তার মনোবলকে আরো বাড়িয়ে দেবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ এর শুরু থেকে চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে ডাঃ সাজেদা বেগম খুবই চমৎকার ভাবে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তার নেতৃত্বে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিরলস কাজ করছে। এই কাজে ডাঃ সাজেদাসহ তার টীম অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার।
উল্লেখ্য, ডাঃ সাজেদা বেগম পলিনের স্বামী আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ও করোনাভাইরাস বিষয়ে ফোকালপার্সন ডাঃ এএইচএম সুজাউদ্দৌলা রুবেলও একইভাবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জেলার সবচেয়ে বড় এই চিকিৎসাঙ্গনে এই ক্রান্তিলগ্নে ঝুঁকির মাঝেও ডাঃ রুবেল দিনরাত করোনা নিয়ে কাজ করছেন।