ইসমাইল হোসেন বিপ্লব, কচুয়া প্রতিনিধি ॥
দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা। তবে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ধান কাটা নিয়ে যখন শঙ্কায় ছিলেন কৃষক, তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
সোমবার দিনভর কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়ন নলুয়া গ্রামের কৃষক মো. ইয়াছিন মিয়া, অসহায় নারী আমেনা বেগমসহ ৫ কৃষকের ১২০শতক জমির ধান কেটে দেয় উপজেলা যুবলীগ ।
কচুয়া উপজেলার সভাপতি ও পৌর মেয়র মো. নাজমুল আলম স্বপন, সাধারন সম্পাদক মো.শাহ জালাল উদ্দিন প্রধান, বাংলা কলেজের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা মো. সোলাইমান মিয়া জীবন, কড়ইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক মো. তারেক শাস মিঠু, যুগ্ন-আহবায়ক মো. জসিম উদ্দিন প্রধানের নেতৃত্বে স্থানীয় যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কৃষকের ১২০শতক পাকা ধান কেটে দেওয়া হয়েছে। পরে কৃষকের বাড়ির উঠানেও পৌঁছে দেওয়া হয়।
কচুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মো.নাজমুল আলম স্বপন বলেন,সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে মোতাবেক শ্রমিক সংকট দূর করতে নবম দিনের মতো কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে কচুয়া উপজেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা। আমরা সারা দিন কৃষকের ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। কচুয়া উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়নে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশ দেয়া হবে কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিবে। যুবলীগের নেতাকর্মীরা সে কাজ করে যাচ্ছে, যতক্ষন পর্যন্ত আমাদের দেশের প্রানঘাতি করোনা ভাইরাস স্বাভাবিক না হবে আমাদের সেবা মূলক সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো.শাহ জালাল প্রধান জালাল বলেন,কৃষকের দুঃসময়ে যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাদের পাশে আছে। তাই চলতি মৌসুমে বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়া কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিবে যুবলীগ। এছাড়া কৃষকদের যে কোন ধরণের সহযোগিতা করার চেষ্টা করবে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। আর করোনা সংকটে থাকা কর্মহীন, অহসায় মানুষদেরও সহযোগীতা করা অব্যাহত রেখেছে যুবলীগের।
ঊাংলা কলেজের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা মো. সোলাইমান মিয়া জীবন বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশে ক্রান্তিকাল চলছে। এই পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে অসহায় মানুষের পাশাপাশি কৃষকদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন যুবলীগের নেতাকর্মীদেরকে সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা যুবলীগের নেতাকর্মীরা আজ অসহায় কৃষক ইলিয়াছ মিয়া, বিধবা আমেনা বেগমসহ ৪ কৃষকের ১২০শতক জমির ধান কেটে দিই। যেকোনও অসহায় কৃষকের পাশে থাকবে কচুয়া উপজেলা যুবলীগ।
কৃষক ইলিয়াছ মিয়া ও আমেনা বেগম বলেন, এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে। আমি গরিব মানুষ। আয় রোজগারও কম। একদিকে করোনাভাইরাসের ভয়। অন্যদিকে বন্যার ভয়ও ছিল। যার কারণে দ্রুত ধান কেটে ঘরে তুলতে পারব কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। পরে এই বিষয়টি আমি আমার এলাকার সন্তান ও বাংলা কলেজের সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. সোলাইমান মিয়া জীবন, কড়ইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক মো. তারেক শাস মিঠু ও যুগ্ন-আহবায়ক মো. জসিম উদ্দিন, ছাত্রলীগের সাদারন সম্পাদক মো. আলোমগীর হোসেনকে জানাই। পরে তিনি আমার ধান কেটে দেওয়ার কথা বলেন। সকালে এসে কচুয়া উপজেলার যুবলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মো. নাজমুল আলম স্বপন, সাধারন সম্পাদক মো.শাহ জালাল প্রধান জালাল, ইউনিয়ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিলে আমার ধান কেটে বাড়ীতে পৌছেয়ে দেন। বিপদের সময় তারা ধান কেটে আমার যে উপকার করেছেন, এজন্য আমি তাদের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
এসময় সামিজ দূরুত্বে বজায় রেখে কচুয়া উপজেলার সভাপতি ও পৌর মেয়র মো. নাজমুল আলম স্বপন, সাধারন সম্পাদক মো.শাহ জালাল উদ্দিন প্রধান, বাংলা কলেজের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা মো. সোলাইমান মিয়া জীবন, কড়ইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক মো.তারেক শাস মিঠু, যুগ্ন-আহবায়ক মো. জসিম উদ্দিন প্রধান, গোলাম মোস্তফা, কচুয়া সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেনসহ স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।