দেশের ৬৪ জেলাতেই ছড়াল করোনা ভাইরাস

  • আপডেট: ১০:১৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মে ২০২০
  • ৩৩

ছবি-নতুনেরকথা।

অনলাইন ডেস্ক:

সাড়ে তিন মাসের মাথায় এসে দেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নমুনা সংগ্রহ এক লাখে পৌঁছাল বুধবার। এই নমুনার মধ্যে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১২ হাজার। অন্যদিকে সারা দেশেই অর্থাৎ ৬৪ জেলাতেই এখন ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এত দিন রাঙামাটি জেলা ছিল করোনামুক্ত। সর্বশেষ সেখানেও এখন দেখা দিয়েছে সংক্রমণ। গতকাল চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি জানান, রাঙামাটি জেলায় চারজনের দেহে কভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে।

এদিকে দেশজুড়ে সংক্রমণের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমিত হয়েছে ঢাকা জেলায়—পাঁচ হাজার ৮৪২ জন। এরপরই নারায়ণগঞ্জে সংক্রমিত হয়েছে এক হাজার ৭২ জন। সব মিলিয়ে দেশের সব কটি বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৩.৫ শতাংশই আক্রান্ত রয়েছে শুধু ঢাকা বিভাগে। এর মধ্যে ঢাকার দুই মহানগরীতেই রয়েছে ৫৮.৬৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম সূত্রে বুধবার বিকেল নাগাদ এই তথ্য জানা গেছে। এর আগে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী তথ্য তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত) মোট ছয় হাজার ২৪১ জনের কভিড-১৯ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং ৭৯০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। সব মিলিয়ে গতকাল সকাল পর্যন্ত মোট পরীক্ষা হয় ৯৯ হাজার ৬৪৬ জনের (দুপুরের মধ্যেই যা এক লাখ ছাড়িয়েছে বলে বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়)। আর আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয় গতকাল সকাল পর্যন্ত মোট ১১ হাজার ৭১৯ জন (দুপুর পর্যন্ত যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে)। আর এই সময়ের মধ্যে সব মিলিয়ে মৃত্যু হয় ১৮৬ জনের।

বুলেটিনে জানানো হয়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। দুজন ঢাকার বাসিন্দা, একজন ঢাকার বাইরের।

বুলেটিনে জানানো হয়, আইইডিসিআর গবেষণা ও মান নিয়ন্ত্রণে এখন বেশি নজর দিলেও বাড়িতে গিয়ে নমুনা  সংগ্রহকাজ বন্ধ হয়নি, এটা এখন কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে হবে।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের সহযোগিতায় নমুনা সংগ্রহ বুথ তৈরি করছে। এরই মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনটি, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মেমোরিয়াল হাসপাতালে একটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া ওভাল গ্রুপের জেকেজে নামের একটি প্রতিষ্ঠানের আওতায় রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তি, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, বাসাবোর সবুজবাগ মহাবিদ্যালয়, খিলগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তিতুমীর কলেজ ও নারায়ণগঞ্জে আরো দুটি বুথে নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আর বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে অসুস্থ, বয়স্ক, বিশেষ শিশু, চলাচলে অক্ষম ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে কিটনাশক পানে স্কুলছাত্রীর আ ত্ম হ ত্যা!

দেশের ৬৪ জেলাতেই ছড়াল করোনা ভাইরাস

আপডেট: ১০:১৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মে ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

সাড়ে তিন মাসের মাথায় এসে দেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নমুনা সংগ্রহ এক লাখে পৌঁছাল বুধবার। এই নমুনার মধ্যে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১২ হাজার। অন্যদিকে সারা দেশেই অর্থাৎ ৬৪ জেলাতেই এখন ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এত দিন রাঙামাটি জেলা ছিল করোনামুক্ত। সর্বশেষ সেখানেও এখন দেখা দিয়েছে সংক্রমণ। গতকাল চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি জানান, রাঙামাটি জেলায় চারজনের দেহে কভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে।

এদিকে দেশজুড়ে সংক্রমণের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমিত হয়েছে ঢাকা জেলায়—পাঁচ হাজার ৮৪২ জন। এরপরই নারায়ণগঞ্জে সংক্রমিত হয়েছে এক হাজার ৭২ জন। সব মিলিয়ে দেশের সব কটি বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৩.৫ শতাংশই আক্রান্ত রয়েছে শুধু ঢাকা বিভাগে। এর মধ্যে ঢাকার দুই মহানগরীতেই রয়েছে ৫৮.৬৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম সূত্রে বুধবার বিকেল নাগাদ এই তথ্য জানা গেছে। এর আগে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী তথ্য তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত) মোট ছয় হাজার ২৪১ জনের কভিড-১৯ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং ৭৯০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। সব মিলিয়ে গতকাল সকাল পর্যন্ত মোট পরীক্ষা হয় ৯৯ হাজার ৬৪৬ জনের (দুপুরের মধ্যেই যা এক লাখ ছাড়িয়েছে বলে বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়)। আর আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয় গতকাল সকাল পর্যন্ত মোট ১১ হাজার ৭১৯ জন (দুপুর পর্যন্ত যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে)। আর এই সময়ের মধ্যে সব মিলিয়ে মৃত্যু হয় ১৮৬ জনের।

বুলেটিনে জানানো হয়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। দুজন ঢাকার বাসিন্দা, একজন ঢাকার বাইরের।

বুলেটিনে জানানো হয়, আইইডিসিআর গবেষণা ও মান নিয়ন্ত্রণে এখন বেশি নজর দিলেও বাড়িতে গিয়ে নমুনা  সংগ্রহকাজ বন্ধ হয়নি, এটা এখন কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে হবে।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের সহযোগিতায় নমুনা সংগ্রহ বুথ তৈরি করছে। এরই মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনটি, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মেমোরিয়াল হাসপাতালে একটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া ওভাল গ্রুপের জেকেজে নামের একটি প্রতিষ্ঠানের আওতায় রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তি, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, বাসাবোর সবুজবাগ মহাবিদ্যালয়, খিলগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তিতুমীর কলেজ ও নারায়ণগঞ্জে আরো দুটি বুথে নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আর বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে অসুস্থ, বয়স্ক, বিশেষ শিশু, চলাচলে অক্ষম ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।