নিজস্ব প্রতিনিধি॥
চাঁদপুরে নতুন করে ৩জন করোনায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। করোনা উপসর্গ নিয়ে আজ সোমবার হাজীগঞ্জে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩জন। ৩ জনেরই মৃত্যুর পরে করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে হাজীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৈশাইদ গ্রামের বাবুল গাজীর স্ত্রী আজ দুপুরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাজীগঞ্জ ভিআইপি হসপিটালে মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ওই নারীর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছেন। হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম শোয়েব আহমেদ চিশতি বলেন, করোনা সন্দেহে ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলেই বুঝা যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা।
চাঁদপুর জেলায় গতকাল সোমবার পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের পরীক্ষার জন্য ৫০৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে রিপোট এসেছে ৪২১ জনের। রিপোটের অপেক্ষায় রয়েছে ৮২ জনের। এদের মধ্যে গতকাল সোমবার বিকেলে ঢাকা আইইডিসিআর থেকে নতুন করে ৭জনের রিপোট এসেছে। এদের মধ্যে ৪জনের রিপোট নেগেটিব আসলেও নতুন আরো ৩জনের রিপোট পজেটিভ আসে। যার ফলে চাঁদপুরে ৩জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে চাঁদপুর সিভিল সার্জন মো: শাখায়াত উল্লাহ্ জানান। সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানান, পূর্বে আক্রান্ত ১৯জনসহ চাঁদপুরে সর্বমোট-২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচেছন।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো: সুজাউদ্দোল্লা রুবেল জানান, চাঁদপুরে এই পর্যন্ত ২২ জন করোনা পজেটিভ রিপোট এসেছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে ১০ জন, ফরিদগঞ্জে ৬ জন, মতলবে (উত্তর) ৩ জন, হাজীগঞ্জে ২ জন, হাইমচরে ১ জন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে ১০জন। মৃত্যুবরণ করেছে
৭জনের রিপোট আইইডিসিআর থেকে আসে এদের মধ্যে ৪জনের রিপোট নেগেটিভ,৩ জনের রিপোট পজেটিভ এসেছে। চাঁদপুরে সোমবার নতুন করে ৩জন আক্রান্ত হয়েছে। এদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। তারা তাদের বাসা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচেছ। এদের মধ্যে এক জন নতুন বাজার শহীদ জাবেদ সড়কের বাসিন্দা,এক জন তরপুরচন্ডী এলাকার বাসিন্দা ও অপর জন পুরানবাজার মেরকাটিজ রোড এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। আক্রান্ত ৩জন ভাল আছে। তাদের রিপোট নেগেটিভ হলেও তাদের শরীরে কোন প্রকার করোনার উপসর্গ নেই ও সেই রকম নমুনাও নেই। তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ রাখা হচেছ ও চিকিৎসা দেওয়া হচেছ। তাদের অবস্থা বেগতিক হলে তাদেরকে হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হবে।