চাঁদপুর, ১ মে, শুক্রবার :
চাঁদপুরে করোনা ভাইরাসে নতুন কোন আক্রান্ত বা মৃত্যু নেই। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সম্পূর্ণ সুস্থ্য আছে। শ্রুক্রবার সকালে তার পরিবারের সাথে কথা বলে এ তথ্যা জানাগেছে। অহেতুক কেউ ফেইসবুকে গুজব ছড়াবেননা।
চাঁদপুরে বৃহস্পতিবার ৭৩ জনের করোনা নমুনা সংগ্রহের পরে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
৭৩ জনের মধ্যে হাজীগঞ্জ থেকে সংগ্রহ হয়েছে ৬০ জনের এবং বাকী ১৩জন সদরসহ অন্যান্য উপজেলার।
পূর্বের রিপোর্ট অপেক্ষমান রয়েছে ৩০টি। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মো. সাখাওয়াত উল্যাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজকে ঢাকা থেকে একজনের রিপোর্ট এসেছে। তার রিপোর্ট নেগেটিভ। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার।
আরো পড়ুন; দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় নিহত ৫, আক্রান্ত ৫৬৪
চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, পূর্বের ৩০ টি রিপোর্ট অপেক্ষমান আছে। এই নিয়ে জেলায় মোট ১০৩ টি রিপোর্ট অপেক্ষমান রয়েছে। জেলা থেকে এই পর্যন্ত মোট ৪০১ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত মোট ২৯৬ টি নমুনার রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ১৬ জন করোনা ভাইরাস এর রোগী সনাক্ত হয়েছে। আর ৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মৃত্যুবরন করেছেন ২ জন আর বাকি ৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এর বাইরে ঢাকা থেকে নমুনা পরিক্ষা করে পজেটিব হওয়া একজন রোগী সদর হসপিটালের আইসোলেশনে আছেন। তিনি সহএখন মোট ৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরো পড়ুন; করোনা ভাইরাস: হাজীগঞ্জ থেকে ১ দিনে সর্বোচ্চ ৬০টি নমুনা সংগ্রহ
এদিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের নিহত ফয়সালের শ^শুর এর রিপোর্ট পজেটিভ আসার পরে তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরের বার তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। বৃহস্পতিবার তিনি স্বেচ্ছায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া না দেওয়া হলেও বাড়িতে চলেগেছেন। তিনি বাড়ীতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন বলে জানাগেছে। তবে তার আরেকটি রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে তিনি সুস্থ্য কিনা।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোড এলাকার একই পরিবারের ৩জন আক্রান্তের দ্বিতীয়বারের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাদের ৪৮ঘন্টা পরের রিপোর্ট বিষয়টি এখন নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তারা সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত কিনা। চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাঘড়া বাজার এলাকার মৃত ব্যাক্তির ছেলে করোনা উপসর্গ নিয়ে ঘরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার পিতার মৃত্যুর পরের দিন থেকে সে অসুস্থ্য। তাদের পরিবারের ৩ জনের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসা পর্যন্ত তাদের বিষয় স্পষ্ট হওয়া যাচ্ছে না।