গাজী মহিনউদ্দিন:
হাজীগঞ্জে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। চাঁদপুরে সংগৃহীত আরো ৩৯জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে বুধবার সকালে। এর মধ্যে ৩৮জনের নমুনা টেস্টের রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ এসেছে। ১জনের রিপোর্ট পজেটিভ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুপর (১২টা) করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত রোগীর বাড়ী লকডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।
গত ২৭ এপ্রিল হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পজেটিভ হওয়া রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করে।
করোনায় আক্রান্ত ৩৭ বছর বয়সী ওই যুবকের বাড়ি হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গত দুই সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। এখনো তিনি নিজ বাড়িতে আছেন। তিনি ইসলামী ব্যাং হেড অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সোয়েব আহম্মেদ চিশতী বলেন, গত ২৭ এপ্রিল করোনা উপসর্গ সন্দেহে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। আজ তার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ (বুধবার) ডাক্তার তার বাড়িতে যেয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিবেন ওই যুবক হাসপাতালে নাকি বাসায় চিকিৎসা নিবেন।
এ নিয়ে চাঁদপুর জেলার মোট ২৯২জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট নুমনা প্রেরণ করা হয়েছে ৩০৬জনের। প্রেরিত নমুনার মধ্যে এখনো অপেক্ষমান ১৪জনের রিপোর্ট। এছাড়া বুধবার সংগৃহীত আরো ১৭জনের নমুনা আজ (বুধবার) ঢাকা প্রেরণ করা হবে। সে ক্ষেত্রে অপেক্ষমান রিপোর্টের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩১।
প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলায় এ পর্যন্ত ১৪জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর নমুনা পরীক্ষা করে জানা যায় তারা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।
এছাড়া ঢাকায় সনাক্ত হওয়া ১জন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি থাকায় বর্তমানে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫।
মৃতের বাইরে আক্রান্ত অন্য ১৩জনের মধ্যে ২জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি/বাসায় ফিরেছেন। এর মধ্যে একজন মতলব উত্তরে জেলার প্রথম সনাক্তকৃত করোনা রোগী ও অন্যজন ওই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার।
আক্রান্ত অন্য ১১জনের মধ্যে ৪জনের পরবর্তী রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আরেক দফা তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তারা করোনামুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন।